ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

বিনা অপারেশনে পাইলস থেকে মুক্তির ঘরোয়া সমাধান

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ১৫ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২৩:১৩, ১৫ মার্চ ২০২৫

বিনা অপারেশনে পাইলস থেকে মুক্তির ঘরোয়া সমাধান

ছবি: সংগৃহীত।

পাইলস বা অর্শরোগ একটি সাধারণ কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা, যা অনেকের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল অসুবিধার সৃষ্টি করে। অনেকে অপারেশনের ভয়ে চিকিৎসা করাতে দ্বিধাগ্রস্ত হন, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে বিনা অপারেশনে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রকৃতির সহজলভ্য উপাদান ও কিছু কার্যকরী জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই পাইলস নিরাময়ের কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।

১. আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন: পাইলস প্রতিরোধ ও উপশমে খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল, ডাল ও পুরো শস্যজাতীয় খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, যা পাইলসের অন্যতম কারণ।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। এটি মল নরম করে, ফলে টয়লেটে যাওয়ার সময় অস্বস্তি কম হয়।

৩. নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন: নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল পাইলসের ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়ক। ক্ষতস্থানে নিয়মিত নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল লাগালে আরাম পাওয়া যায়।

৪. গরম পানির সিটজ বাথ নিন:  গরম পানিতে ১৫-২০ মিনিট বসে থাকলে অর্শের ব্যথা কমে ও সংক্রমণের আশঙ্কা হ্রাস পায়। দিনে দুই থেকে তিনবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।

৫. তেল-ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও ভাজা খাবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে পাইলসের সমস্যা কমে আসে।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুন:  দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ও অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত হয়।

৭. ঘরোয়া প্রতিকার: আমলকী ও কলার ব্যবহার আমলকী ও কলা হজমশক্তি বাড়ায় এবং মল নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে আমলকী গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পাইলসের উপশম পাওয়া যায়।

অপারেশনের আগেই ঘরোয়া প্রতিকার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চললে পাইলসের সমস্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। তবে সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায় অবলম্বন করে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

নুসরাত

×