
ছবি : সংগৃহীত
সারা দিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইফতার করে থাকেন। ইফতারের পর শরীরের শক্তি ও কর্মচঞ্চলতা ফিরে আসে। তাই ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি সুস্থ থাকার সহায়ক হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে অতিরিক্ত মসলা ও তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা উচিত, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে কর্মক্ষম করে তুলবে। বিশেষ করে পানির চাহিদা পূরণে ফলের বিকল্প নেই। ফলে ইফতারে কিছু নির্দিষ্ট ফল রাখা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। চলুন জেনে নিই, ইফতারে কোন ফলগুলো খেলে শরীর সতেজ ও কর্মক্ষম থাকবে।
শসা
শসা হলো এমন একটি ফল যাতে রয়েছে ৯৫ শতাংশ পানি। এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। শসা ক্যালোরি কম রাখে এবং এতে ফাইবার বেশি থাকে, যা ওজন কমাতেও সহায়ক। প্রতিদিন ইফতারে শসা খাওয়ার পাশাপাশি শসার জুসও খেতে পারেন। এটি হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে।
তরমুজ
গরমের সময় ইফতারে তরমুজ থাকা অত্যন্ত উপকারী। এতে ৯২ শতাংশ পানি রয়েছে, যা শরীরের পানির চাহিদা সহজেই পূরণ করে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড। তরমুজের রস ইফতারে শরীরকে চাঙা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কমলা
কমলা মৌসুমি ফল হলেও এখন প্রায় সারা বছরই এটি পাওয়া যায়। কমলায় রয়েছে ৮০ শতাংশ পানি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। কমলায় থাকা পটাসিয়াম, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম ও কপার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইফতারে এক গ্লাস কমলার রস পান করলে তা শরীরকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখবে।
আপেল
ইফতারে আপেল রাখা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপেলে রয়েছে পেকটিন, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। বিশেষ করে সবুজ আপেল খাওয়াটা খুবই স্বাস্থ্যকর। এটি শরীরের টক্সিন দূর করে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
ডাবের পানি
ডাবের পানি হলো প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম, যা শরীরকে দ্রুত চাঙ্গা করে এবং পানিশূন্যতা দূর করে। ইফতারে ডাবের পানি পান করলে তা শরীরকে সতেজ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজা-পোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে ফল ও প্রাকৃতিক পানীয় খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। এতে শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা থাকবে এবং রোজা রাখার কষ্ট সহজে সহ্য করা যাবে।
মো. মহিউদ্দিন