
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিচিত এক বর্ষজীবী উদ্ভিদ হাতিসুর গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম হেলিওট্রপিয়াম ইন্ডিকাম, এ গাছটি মূলত আগাছা হিসেবে বেড়ে ওঠে, রাস্তার ধারে, খালি জমিতে ও বাগানে সহজেই দেখা যায়। দ্রুত বর্ধনশীল এ গাছ অন্যান্য উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি ব্যবহার।
হাতিসুর গাছের পাতা ছোট, রুক্ষ এবং ফুলগুলো ছোট ও সাদা রঙের। এর ফুলের গুচ্ছ হাতির শুঁড়ের মতো দেখতে হওয়ায় এ নামকরণ করা হয়েছে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে এ গাছ ভালোভাবে জন্মে।
ঐতিহ্যগতভাবে হাতিসুর গাছের পাতা ও ফুল ত্বকের রোগ, জ্বর এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিছু এলাকায় এর পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ গাছের কিছু অংশ বিষাক্ত হওয়ায় এর ব্যবহার সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (IUCN) মতে, হাতিসুর গাছের সংরক্ষণ অবস্থা "নূন্যতম বিপদগ্রস্ত" (Least Concern), কারণ এটি খুবই সাধারণ ও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ গাছ পোকামাকড় দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং পচা পাতা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। তবে এটি অন্য উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
হাতিসুর গাছের উপকারিতা অনেক হলেও এর অবাধ ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। যেকোনো ঔষধি গাছ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=vAjW0hmLBek
রাজু