ছবি: সংগৃহীত
লিভার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার, পুষ্টি শোষণ, এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক। তবে কিছু অভ্যাস এবং উপাদান লিভারের স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এখানে তিনটি প্রধান উপাদান তুলে ধরা হলো যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর:
অতিরিক্ত মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। মদ শরীরে প্রবেশ করলে এটি লিভারের কোষগুলোতে পেরক্সিডেশন সৃষ্টি করে এবং লিভার সেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভার সিরোসিস, হেপাটাইটিস, এবং ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (যেখানে লিভারে চর্বি জমে যায়) হওয়া সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এটি লিভারের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনে এবং পুরোপুরি অকেজোও হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনি জাতীয় খাদ্য লিভারের উপর প্রভাব ফেলে। এসব খাবার লিভারের মধ্যে চর্বি জমিয়ে দেয়, যার ফলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (non-alcoholic fatty liver disease - NAFLD) তৈরি হয়। এটি ধীরে ধীরে লিভারের কোষগুলোর ক্ষতি করে, এবং সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং ট্রান্স ফ্যাটও লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত ওষুধ এবং টক্সিক পদার্থের ব্যবহার: অনেক সময় লোকেরা চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বা স্টেরয়েড ব্যবহার করে, যা লিভারের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন, পরিস্কার বা প্রসাধনী দ্রব্য, পারacetamol এর মতো সাধারণ ওষুধ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া রাসায়নিক পদার্থ বা ড্রাগের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভার কোষগুলোর ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে লিভার ফেলিওর হতে পারে।
এই অভ্যাসগুলির প্রতিকার বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে লিভারের নানা রোগ এবং জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তাই লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক
