
ছবি: সংগৃহীত
ফুসফুস ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিছু অভ্যাস এবং পরিবেশগত কারণে। নিচে তিনটি প্রধান উপাদান তুলে ধরা হলো যা ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে:
ধূমপান: ধূমপান ফুসফুসের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এটি ধীরে ধীরে ফুসফুসের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ), ব্রংকাইটিস এবং ফুসফুস ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপানের ফলে দেহে টক্সিন প্রবাহিত হয়, যা ফুসফুসের অ্যালভিওলি (শ্বাসযন্ত্রের ছোট ছোট ব্যাগ) ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং গ্যাসের আদান-প্রদান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে।
দূষিত বায়ু: দূষিত বায়ু যেমন বায়ুমণ্ডলে থাকা PM2.5 (অতি সূক্ষ্ম ধোঁয়া কণা) এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ ফুসফুসের স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে দূষিত পরিবেশে বাস করলে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং অন্যান্য ফুসফুসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণ ফুসফুসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরের ওজন: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত ওজনও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ওজনের কারণে শ্বাসতন্ত্রে চাপ সৃষ্টি হয়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি করতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস যেমন অতিরিক্ত চর্বি, চিনিযুক্ত খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর জীবাণু প্রচারের জন্য দায়ী।
এগুলি নিয়মিতভাবে ফুসফুসের সুস্থতার ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এই অভ্যাসগুলোর থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক