
ছবি: সংগৃহীত
সারাবিশ্বের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত। বেশিরভাগ সময়ই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই একে বলা হয় নীরব ঘাতক।
৬৫ -৭৪ বছর বয়সী প্রতি ৫ জন পুরুষের মধ্যে একজন ও মহিলাদের মধ্যে প্রতি ৪ জনে একজন কিডনি রোগে ভুগছেন।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে শতকরা ১৭-২২% লোক কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছে। এবং এই রোগের আরেকটি ভয়াবহ দিক হলো, কিডনি বিকল হয়ে মারা যাওয়ার বহু আগেই রোগীরা হার্ট ডিজিজ বা ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান। দেখা গেছে, যাদের ক্রোনিক কিডনি ডিজিজ আছে তাদের ১০০ ভাগ বেশি হার্ট ও ব্রেনের রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।
সচেতন কেন হবেন?
এর বড় কারণ হলো কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। প্রাথমিক স্তরে এই রোগ ধরা পড়লে তা প্রতিরোধ করা যায়। পৃথিবীতে কিডনি রোগের প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস। আমরা যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, লাইফস্টাইল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, ধুমপান না করি তাহলে আমাদের কিডনির ৫০-৬০ ভাগ রোগ নিবারণযোগ্য।
দেখা যাচ্ছে, সারা বিশ্বে প্রতি মিনিটে ৫ জন কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। কিডনি রোগের সর্বশেষ ধাপে প্রয়োজন হয় ডায়ালাইসিস। এর ব্যয় আমাদের মতো দেশে রোগীর পক্ষে বহন করা সম্ভব হয়না। আর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া আরো জটিল। একে ব্যয়বহুল, তার উপর সঠিক কিডনি মিলানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তাই রোগটি জটিল পর্যায়ে যেন না পৌঁছায় তার আগেই নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করতে হবে। সবার সম্ভব না হলেও যারা উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, যেমন: ৪০ বা তার বেশি বয়সী, প্রস্রাবে ইনফেকশন বা কিডনিতে পাথর ছিল এমন, তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পরপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মায়মুনা