
ছবি: সংগৃহীত
কিডনি রোগের বিযষয়ে তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে -
১. কিডনি সমস্যা কমন
২. এটি ক্ষতিকর
৩. এটি নিরাময় যোগ্য
সারাবিশ্বে কিডনি রোগের সংখ্যা ব্যাপক এবং এর পরিণতি ভয়ানক। তবে আমরা যদি সচেতন হই, তাহলে এই রোগ প্রতিরোধ যোগ্য।
আমাদের শরীরে কিডনি রোগ সুপ্ত আছে কি না তা আমরা জানি না। সারাবিশ্বে শুধুমাত্র দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা ৮০ কোটি। অন্যান্য রোগ তো আছেই। আর স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে এসব রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
আমাদের দেশে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ কিডনি রোগী আছে। এর মধ্যে প্রতিবছর ৪০-৫০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বেঁচে থাকার জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন। আরো ২০-৩০ লাখ রোগীর হয় আকস্মিক কিডনি বিকল, তাদেরও সাময়িকভাবে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।
এসব চিকিৎসা এতোটাই ব্যয়বহুল যে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের শতকরা ১০ ভাগ রোগীও এই ব্যয় বহন করতে পারে না। তাই দেখা যায় প্রায় ৯০ ভাগ কিডনি রোগী অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
কিডনি রোগের প্রধান কারণ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন, ব্যাথানাশক ওষুধ সেবন, ধুমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি। তাছাড়া, শিশুকালে কারো কিডনি রোগ ছিল, কিন্তু বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তা থেকেও পরবর্তীতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। কারো নেফ্রাইটিসের সমস্যা থাকলেও তার চিকিৎসা করাতে হবে। কিডনিতে পাথর হওয়া, ঘনঘন প্রস্তাবে ইনফেকশন ইত্যাদির চিকিৎসা না করালে কিডনি রোগের সম্ভাবনা থাকে। ৯০-৯৫ ভাগ রোগীর এসব কারণে কিডনি বিকল বা নষ্ট হয়ে যায়। এগুলো বেশিরভাগই আমাদের জীবনধারার সাথে জড়িত। আমরা যদি একদম ছোটবেলা থেকে এসবের চর্চা করি তাহলে আমরা শুধু কিডনি রোগই নয়, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারব।
এসব জীবনধারার উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো:
১. সচল থাকা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা
২. সুষম ও পরিমিত খাবার খাওয়া
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করা
একজন কিডনি রোগী পরিবারে থাকলে অনেকসময় পুরো পরিবারই নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই তৃণমূল পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে এবং নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মায়মুনা