
ছবি: সংগৃহীত
গর্ভাবস্থায় পেটের আকার স্বাভাবিকভাবেই অনেকখানি বেড়ে যায়। গর্ভের শিশুকে জায়গা দেওয়ার জন্য পেটের চামড়াও অনেক প্রসারিত হয়। ফলে ডেলিভারির পরও মায়ের পেটের আকার বড় থেকে যায়। সময়ের সাথে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে।
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুনমুন জাহান তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে তিনি মা হওয়ার পর শরীরের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বাচ্চা জন্মদানের এক বছর পরেও অনেকের পেট তিন মাস বা চার মাসের গর্ভবতী নারীদের মতো থাকে এবং যে কেউ তাকে দেখলেই হয়তো হুট করে জিজ্ঞেস করে, তিনি আবার গর্ভধারণ করেছেন কিনা। এ ব্যাপারটি খুব বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেন ডা. মুনমুন জাহান।
অপারেশন ছাড়াই পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানো সম্ভব জানিয়ে ডা. মুনমুন বলেন, ‘বেলি ফ্যাট কমানোর জন্য আমরা যে নরমাল এক্সারসাইজগুলো করে থাকি, সেটা আসলে আমাদের ডায়াস্ট্যাসিস রেক্টি হিলিং এ কোনো কাজ করে না।’ তিনি পেটের মেদ কমানোর কাজটিকে ম্যারাথন রেসের সাথে তুলনা করে সহজ ব্যায়ামগুলো নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে বলে জানান।
ডা. মুনমুন জাহান বিশেষ করে একটি ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করেছেন।
চিত্রে প্রদর্শিত অনুশীলনটি ডায়াস্ট্যাসিস রেক্টি হিলিং অর্থাৎ পেটের মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কার্যকরী। নিচে ব্যায়ামটি অনুশীলনের পদ্ধতি তুলে ধরা হল-
১। পেলভিক টিল্টস: পিঠ নিচে দিয়ে শুয়ে হাঁটু বাঁকা এবং পা সমতল রাখুন, তারপর পেটকে উপরে টিল্ট করুন এবং পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
২। হিল স্লাইডস: হাঁটু বাঁকা অবস্থায় একটি গোড়ালি মেঝেতে স্লাইড করুন যতক্ষণ না পা সোজা হয়।
৩। টো ট্যাপস: হাঁটু বাঁকা এবং উঁচু অবস্থায় রেখে পা দিয়ে একে একে মেঝে স্পর্শ করুন।
৪। অ্যাবডোমিনাল হোলোয়িং: পেট মেরুদণ্ডের দিকে টানুন, একই সময়ে মেরুদণ্ডকেও সোজা রাখুন।
৫। শ্বাস-প্রশ্বাস ও কেগেল: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে কেগেল ব্যায়াম অনুশীলন করুন।
ব্যায়ামের ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=myj3Vs8IrzY&t=6s
রাকিব