ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

ইফতারে বেশি ফল খাওয়ার ৫টি অপকারিতা

প্রকাশিত: ১০:০২, ১৩ মার্চ ২০২৫

ইফতারে বেশি ফল খাওয়ার ৫টি অপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

১. রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে

ফল প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ) সমৃদ্ধ। ইফতারে বেশি ফল খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

২. হজমে সমস্যা হতে পারে

ফলে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে, যা স্বাভাবিক হজমে সহায়ক। তবে বেশি ফল খেলে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া এবং বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি

অনেকেই মনে করেন, ফল খেলে ওজন কমে, কিন্তু অতিরিক্ত ফল খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালোরি জমে এবং ফ্যাট বাড়তে পারে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

৪. দাঁতের ক্ষতি হতে পারে

ফলের প্রাকৃতিক চিনি এবং অ্যাসিড দাঁতের এনামেল নষ্ট করতে পারে। বিশেষ করে বেশি আঙুর, কমলা, আম, আনারস ইত্যাদি খেলে দাঁতের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৫. অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যেতে পারে (ডিহাইড্রেশন)

অনেক ফলে ডাইইউরেটিক (প্রস্রাব বেশি হওয়ার কারণ) উপাদান থাকে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে পারে। ফলে ইফতারের পর দ্রুত পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দিতে পারে।

সঠিক উপায়ে ইফতারে ফল খাওয়ার টিপস

 সংযত পরিমাণে খান – ২-৩ ধরনের ফল ১ বাটি পরিমাণে যথেষ্ট।
 সরাসরি ফল খান, জুস নয় – কারণ জুসে আঁশ কমে যায় এবং চিনি বেশি থাকে।
 অন্য খাবারের সাথে ভারসাম্য রাখুন – শুধু ফল নয়, খেজুর, শরবত, সামান্য প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটও রাখতে হবে।
 অ্যাসিডিক ফল কম খান – যেমন আনারস ও কমলা বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

উপসংহার

ইফতারে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তবে অতিরিক্ত ফল খেলে এটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে। তাই সংযমের সাথে খাওয়া এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাই ভালো স্বাস্থ্য ও উপবাসের মূল উদ্দেশ্য পূরণ করবে।
 

কানন

×