ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

ডায়াবেটিস না থাকলেও সুগার কেন বাড়ে? এর সমাধান কী?

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০৯:৪৪, ১৩ মার্চ ২০২৫

ডায়াবেটিস না থাকলেও সুগার কেন বাড়ে? এর সমাধান কী?

ছবি: সংগৃহীত

উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে আমাদের রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র ডায়াবেটিক বা প্রি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যই নয়, সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। এজন্য আমরা কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি যাতে আমরা হাই‌ কার্বোহাইড্রেট নিলেও যে পরিমাণ শর্করা বা গ্লুকোজ স্পাইক হওয়ার কথা, সেই পরিমাণ বাড়বে না। বরং এটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এটি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন কেন?
আমরা যখন হাই কার্বোহাইড্রেট নিচ্ছি তখন আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোন, তাকে বেশি পরিমাণ নিঃসরণ করতে হয়। আমাদের প্যানক্রিয়াস বেশি মাত্রায় ইনসুলিন নিঃসরণ করে যেন অতিরিক্ত গ্লুকোজ টা আবার কোষের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলা যায়। এভাবে বেশি কাজ করতে করতে প্যানক্রিয়াস একসময় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং আর ইনসুলিন নিঃসরণ করতে পারেনা। অথবা ইনসুলিন ঠিকভাবে নিঃসরণ হলেও আমাদের শরীর ঠিকভাবে কাজ করে না। এর ফলশ্রুতিতে আমাদের ডায়াবেটিস হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস বর্তমানে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। কাজেই আমার ডায়াবেটিস হলেই শুধুমাত্র আমি এটি ফলো করব এই কথাটি আমরা মাথায় রাখব না, বরং এটি আমরা সবাই ফলো করার চেষ্টা করব।

যেসব খাবার খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়, অর্থাৎ, যাদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর মান ৭০ বা তার উপরে, সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চেষ্টা করব লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবারগুলো খেতে।

অন্যান্য আরো যেসব পদ্ধতি আমরা ফলো করতে পারি তা হলো: সাধারণত হাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় কোনো খাবার রান্না করে যদি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খান, তাহলে সেই খাবার টা ভাঙতে আপনার শরীরের বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত কাজের জন্য সেই অতিরিক্ত গ্লুকোজ স্পাইক টা আর হতে পারছে না।

বলা হয়, সরাসরি উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়া। অর্থাৎ সরাসরি কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে এর সাথে সবজি ও মাছ মাংস দিয়ে খাওয়া উচিত।
একবার হাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেয়ে পরের বার লো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া, এরকম করা উচিত নয়। আমাদের শরীর যখন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারে বেশি শর্করা পাচ্ছে, তখন সে প্রস্তুত যে তাকে বেশি শর্করা প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। কিন্তু একসময় যখন স্বল্প শর্করার খাবার দিচ্ছি তখন একটা অসামঞ্জস্য তৈরি হয়, শরীর বুঝতে পারে না। তাই, খুব বেশি ওঠানামা না করিয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট নেওয়া। ডায়েটেশিয়ানরাও এটা ফলো করেন।

আমরা যদি খালি পেটে টক খাবার খাই, হতে পারে টক ফল, ভিনেগার বা লেবু খাই সেক্ষেত্রে আমাদের শরীরে গ্লুকোজ স্পাইক টা কম হয়। তবে, আমরা অনেকেই খালি পেটে এই টক খাবারগুলো নিতে পারছি না। ফলে প্রচন্ড অ্যাসিডিটি থেকে আমরা এই পদ্ধতিটিই বাদ দিয়ে দিচ্ছি। এটিকে আমরা একটু মডিফাইড উপায়ে ব্যবহার করব। আমাদের খাবার মাঝখানে এই খাবারগুলো রাখব। এর ফলে গ্লুকোজ স্পাইক টা কম হবে এবং অ্যাসিডিটির সমস্যাটাও আর হবে না।

প্রতিবেলা খাবার পর আমরা চেষ্টা করব ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটার। হাঁটতে না পারলে নন এক্সারসাইজ অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমেও আপনি গ্লুকোজ স্পাইকের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন।

সূত্র: https://www.facebook.com/share/r/167opuFhFq/

মায়মুনা

×