
ছবি: সংগৃহীত
রমজান মাসে দিনভর রোজা রাখার কারণে অনেকেই ক্লান্তির শিকার হন, বিশেষত যারা কাজ, পড়াশোনা এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম কয়েক দিন ক্লান্তি আরও বেশি অনুভূত হতে পারে, কারণ শরীর নতুন রুটিনে অভ্যস্ত হতে থাকে। তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং অভ্যস্ততা মেনে চললে পুরো মাসে আরও সচেতন এবং প্রাণবন্ত থাকা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
সঠিক সময়সূচি গঠন করুন
ডুবাই ভিত্তিক হোলিস্টিক মনোবিজ্ঞানী দেবিকা মানকানি বলেন, আপনার শরীরের প্রাকৃতিক শক্তির ছন্দের সাথে আপনার সময়সূচী সামঞ্জস্য করা উচিত। সকালে সবচেয়ে বেশি শক্তি থাকে, তাই সেই সময়টা গুরুত্বপূর্ন কাজগুলি সম্পন্ন করতে হবে। দুপুরে শক্তির নিম্নমুখী সময়ে রুটিন বা প্রশাসনিক কাজগুলো রাখা উচিত।
ছোট পাওয়ার ন্যাপ নিন
দুপুরের খাবারের পর ২০ মিনিটের ছোট ন্যাপ নিলে শক্তি ফিরে আসতে পারে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। এটি আপনার মেজাজও উন্নত করতে সাহায্য করে।
সঠিক খাবারের নির্বাচন
সুহুর এবং ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি শারীরিক শক্তির উন্নতি করবে। সুষম আহার আপনার শক্তি স্তরকে সারা দিন ধরে স্থিতিশীল রাখে।
পানি পান এবং হাইড্রেশন
রোজায় পানি পান করতে না পারলেও ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, যা পরবর্তী দিনের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করবে। ইফতারে ফলমূল ও স্যুপের মতো হাইড্রেটিং খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
হালকা ব্যায়াম
রোজায় শরীরচর্চা একটু কঠিন মনে হতে পারে, তবে হালকা ব্যায়াম ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। ইফতারের পর হাঁটাহাঁটি বা যোগব্যায়াম করতে পারেন।
মানসিক চাপ কমানো
রমজান মাসের আধ্যাত্মিক গুরুত্বকে সম্মান জানিয়ে মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রার্থনা বা মেডিটেশন করুন। এটি আপনার শক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে।
ঘুমের গুরুত্ব
রাতে ভাল ঘুম নিশ্চিত করুন, বিশেষ করে তারাওয়ের পরের সময়টুকু দীর্ঘ ঘুমের জন্য রাখুন এবং সেহরির আগে ছোট্ট বিশ্রাম নিতে পারেন।
এই সহজ পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে রমজান মাসে ক্লান্তি কাটিয়ে সক্রিয় এবং মনোযোগী থাকা সম্ভব।
শিহাব