
ছবি সংগৃহীত
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোজা রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) বা অতিরিক্ত বাড়তে পারে (হাইপারগ্লাইসেমিয়া)। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের রোজার সময় বিশেষ কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীর উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখা। পাশাপাশি, কিছু সতর্কতা মেনে চললে রোজার সময় সুস্থ থাকা সম্ভব। নিচে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হলো—
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ বা ইনসুলিন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জেনে নিন।
সঠিক খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন: সেহরি ও ইফতারের সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন খাবার যেমন ডাল, শস্যজাতীয় খাবার ও সবুজ শাকসবজি খান।
সেহরি দেরিতে করুন: সেহরি শেষ মুহূর্তে করা ভালো, যাতে শরীর দীর্ঘ সময় শক্তি ধরে রাখতে পারে এবং ব্লাড সুগার লেভেল স্বাভাবিক থাকে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ইফতার থেকে সেহরির মধ্যে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন: রোজার পর বেশি চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করুন।
ভাজাপোড়া খাবার কমান: ইফতারে বেশি তেলযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার খেলে ওজন বাড়তে পারে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন: বিশেষ করে বিকেলের দিকে ও ইফতারের পর ব্লাড সুগার চেক করুন, যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
হালকা ব্যায়াম করুন: ভারী পরিশ্রম এড়িয়ে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন, যা শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
অতিরিক্ত ক্ষুধা ও দুর্বলতা অনুভব করলে রোজা ভাঙুন: যদি মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা, অতিরিক্ত ঘাম বা দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত রক্তের শর্করা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে রোজা ভেঙে ফেলুন।
ওষুধ ও ইনসুলিনের সঠিক ডোজ নিশ্চিত করুন: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন বা ওষুধ গ্রহণের সময় ও মাত্রা ঠিক করুন, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আশিক