ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় থাইরয়েড রোগীর করণীয়

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ১১ মার্চ ২০২৫

রোজায় থাইরয়েড রোগীর করণীয়

ছবি: সংগৃহীত

রোজা পালনের সময়ে থাইরয়েড রোগীদের জন্য কিছু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে যারা হাইপোথাইরয়েডিজম বা থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা কমে গেলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়, যার কারণে লেভো থাইরক্সিন নামক একটি ওষুধ নিয়মিত খেতে হয়। এই ওষুধটি খালি পেটে সকালে সেবন করতে হয়, যা রোজার সময়ের জন্য কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে সঠিক নিয়ম মানলে রোজা রাখতেও কোনো সমস্যা হবে না। নিচে থাইরয়েড রোগীদের জন্য রোজায় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরা হলো:

রোজায় থাইরয়েড রোগীদের রোজা রাখায় কোনো সমস্যা নেই
হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীরা সাধারণত রোজা রাখতে পারেন। তবে যাদের পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা আছে এবং সেকেন্ডারি হাইপোথাইরয়েডিজম হয়, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, এই সমস্যা অন্যান্য হরমোনের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে রোজা রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।

থাইরয়েডের ওষুধ নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন
থাইরয়েডের হরমোন ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজার সময়ও পূর্বের মতো ডোজ নিতে হবে। যদি হরমোনের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন হয়, তবে রোজার শুরু হওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডোজ ঠিক করে নিতে হবে।

সাহ্‌রিতে খালি পেটে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ
লেভো থাইরক্সিন খালি পেটে সেবন করলে এটি শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয় এবং কার্যকরী হয়। রোজায় সাহ্‌রিতে একটু আগে উঠে খালি পেটে এই ওষুধটি খেয়ে নিন। এরপর খাবার খেতে পারেন। খাবার খাওয়ার আগে ওষুধ সেবনের মধ্যে এক ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত।

রাত ১২টার পর ঘুমালে ওষুধ খাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা
যদি আপনার অভ্যাস থাকে রাত ১২টার পর ঘুমানোর, তবে সাহ্‌রির আগে কয়েক ঘণ্টা ওষুধটি খেয়ে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, রাতের খাবারের অন্তত দুই ঘণ্টা পর ওষুধটি খেতে হবে।

ওষুধ খেতে ভুলে গেলে কী করবেন
রোজায় অনেক সময় নানা কারণে ওষুধ খেতে ভুল হতে পারে। মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎক্ষণাৎ ওষুধটি সেবন করতে হবে। খাবারের এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে বা পরে খেতে পারলে ভালো, অথবা পরদিন একসঙ্গে দুটি ডোজ খেতে পারেন।

এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে রোজার সময় থাইরয়েড রোগীরা সুস্থভাবে রোজা পালন করতে পারবেন এবং তাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে, যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শিহাব

×