
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে অনেকেই "আমি ক্লান্ত" এমন কথাটি বেশ ঘনঘন বলে থাকেন। তবে এর পিছনে অনেক কারণে ক্লান্তি বা তন্দ্রা আসতে পারে। মৌসুমী বিষণ্ণতা, দৈনন্দিন চাপ বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এর মধ্যে অন্যতম। তবে ক্লান্তি কি শুধু এক দিনের সমস্যার ফলস্বরূপ, না কি এর পিছনে কোনো স্বাস্থ্যজনিত কারণও রয়েছে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ড. জেনিফার মন্ডট, ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ ওয়েক সেন্টারের ক্লিনিক্যাল স্লিপ সাইকোলজিস্ট এবং পরিবার এবং প্রতিরোধক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বলেন, "ঘুমের অভাব এবং ক্লান্তির মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে।" ঘুমের অভাব মানে হলো এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে শরীরের সতর্কতা কমে যায় এবং আপনি যদি সুযোগ পান, সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। অন্যদিকে, ক্লান্তি হল শক্তির অভাব, যা অপর্যাপ্ত ঘুম বা অন্য স্বাস্থ্যগত কারণে হতে পারে এবং এটি দৈনন্দিন কাজ করতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ক্লান্তি এবং তন্দ্রা এই দুটি বিষয়কে বিভক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অধিক তন্দ্রা থাকলে এটি ঘুমের রোগের বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ক্লান্তির ক্ষেত্রে যদি এটি দীর্ঘদিন চলে এবং আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
ড. টিনা-অ্যান থম্পসন, এমরি হেলথকেয়ারের প্রাথমিক যত্নের চিকিৎসক, বলেন, "যখন ক্লান্তি দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে থাকে এবং এটি আপনার জীবনের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে, তখন চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত।"
অন্যান্য সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানিমিয়া, হৃদরোগ, হরমোনের পরিবর্তন, ভাইরাস বা সংক্রমণ, যা দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তবে ঘুমের সমস্যা, যেমন ইনসমনিয়া বা স্লিপ অ্যাপনিয়া, ক্লান্তির আরও সাধারণ কারণ।
তবে জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে ঘুমের প্রতি যথাযথ যত্ন নেওয়াই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। ড. মন্ডট বলেন, "ঘুমের ক্ষেত্রে নিয়মিত সময়সূচী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহান্তে অতিরিক্ত ঘুমানোর চেষ্টা না করে, প্রতিদিন একই সময়ে শুতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।"
সুতরাং, যদি আপনি নিয়মিত ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে এটি ঘুমের অভাব, স্বাস্থ্য সমস্যা বা কোনো ঘুমের রোগের কারণ হতে পারে, যা চিকিৎসকের পরামর্শের মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।
শিহাব