
ছবি সংগৃহীত
রমজান মাসে দীর্ঘ সময় উপবাস থাকার পর ইফতারি খাওয়ার সময় শরীরের শক্তির প্রয়োজন বেশি থাকে। তবে অনেক সময়ই দেহ ক্লান্ত এবং অস্থির হয়ে থাকে, যা খাওয়ার পরও ঠিক হয় না। তবে ইফতারিতে খেজুরের মিল্কশেক খেলে শুধু আপনার পেটই ভরে না, শরীরও ফিরে পায় সতেজতা এবং শক্তি।
খেজুর, যা রমজানে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়, তা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, এবং শক্তির উৎস যা উপবাসের পর ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, খেজুরের মিল্কশেক আপনার শরীরের ক্লান্তি পুরোপুরি দূর করে আপনাকে শক্তি দিতে পারে?
কীভাবে কাজ করে খেজুরের মিল্কশেক?
খেজুরের মিল্কশেক বানানো খুবই সহজ এবং এর উপকারিতা অনেক। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সুগার, যা শরীরে দ্রুত শক্তি যোগ করে। এটি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, হজমে সহায়তা করে এবং পরিপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে। এক কাপ দুধের সঙ্গে কয়েকটি খেজুর মিশিয়ে তৈরি করুন এক গ্লাস সুস্বাদু মিল্কশেক।
খেজুরের মিল্কশেকের উপকারিতা:
শক্তি বৃদ্ধি: খেজুরের প্রাকৃতিক সুগার এবং দুধের প্রোটিন শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
পুষ্টির উৎস: এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ভিটামিন, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
হজমের উন্নতি: খেজুরে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
শরীরের ক্লান্তি দূর করে: উপবাসের পর শরীরকে সতেজ রাখে এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি কাটাতে সহায়তা করে।
কীভাবে তৈরি করবেন খেজুরের মিল্কশেক?
-
২-৩টি খেজুর
-
১ কাপ গরম দুধ
-
১/২ চামচ মধু (ঐচ্ছিক)
-
কিছু বরফ কিউব (ঐচ্ছিক)
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে খেজুরের বিচি সরিয়ে ফেলুন।
২. দুধ গরম করে এতে খেজুর এবং মধু মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৩. বরফ কিউব যোগ করে আরও ঠাণ্ডা করে নিন এবং পরিবেশন করুন।
ইফতারে খেজুরের মিল্কশেক খেলে শুধু ক্লান্তি দূর হয় না, শরীরও পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি। সুতরাং, রোজার মাসে এক গ্লাস খেজুর মিল্কশেক হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিদায়ী ইফতারি।
আশিক