ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ১০ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২৩:০২, ১০ মার্চ ২০২৫

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ কথা বলেছেন রমজানে একজন ডায়াবেটিস রোগী কীভাবে চিকিৎসা নিবেন।

তিনি বলেছেন, ডায়াবেটিসের যে চিকিৎসা, তার মধ্যে আমরা বলে থাকি ‘ফোর ডি’।

একটা হচ্ছে ‘ডায়েট’, একটা হচ্ছে ‘ডিসিপ্লিন’, একটা হচ্ছে ‘ড্রাগ’, আরেকটা হচ্ছে ‘ড্রিম’। তার মানে হচ্ছে যে, সে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করবে, তিনি ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করবে মানে হাঁটাহাঁটি করবেন এবং ঔষধের এডজাস্টমেন্ট করবেন এবং ছয় ঘন্টা ঘুমাবেন।

তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, হাঁটাহাঁটিটা এবং শরীর চর্চা, এটা কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসার একটা অংশ। তাহলে রোজায় কি হবে? রোজায় আসলে আমরা যারা ২০ রাকাত নামাজ পড়তে পারি, তারাবির নামাজ, তাদের কিন্তু আর আলাদাভাবে এক্সারসাইজ করার কোন প্রয়োজন নেই।

কিন্তু যারা এভাবে আর নামাজ পড়তে পারবো না, হয়তো বসে নামাজ পড়ছে অথবা কিছু একটা, সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আলাদাভাবে আমরা হাঁটতে বলি। এবং ইফতারের পরে, এক ঘন্টা পরে, ইফতারের এক ঘন্টা পরে, কিন্তু উনি হাঁটার সুযোগ পাবেন এবং কেউ যদি পাঁচ দিন হাঁটেন, সপ্তাহে আধা ঘন্টা করে, তাইলে এনাফ রোজার এক ঘন্টা পর। আর কেউ যদি তারাবির নামাজ পড়েন পুরোপুরি, তাহলে কিন্তু আলাদাভাবে হাঁটার কোন প্রয়োজন নেই।

কিন্তু আমরা একটা সতর্কতা বলে দেই, সেটা হচ্ছে, কেউ যদি খালি পেটে রোজা রাখা অবস্থায়, রমজান চলা অবস্থায় দিনের বেলা কেউ যদি হাঁটাহাঁটি করে, তাহলে কিন্তু তার সুগার কমে গিয়ে হাইপো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। সেজন্য এই ফাস্টিং পিরিয়ডটা, এই রোজার সময়টা, কিন্তু আমরা হাঁটাহাটি করতে রোগীদেরকে মানা করে থাকি। 

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=WOHuiiT6fmE

মো. মহিউদ্দিন

×