
ছবিঃ সংগৃহীত
রমজান মাসে দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই ইফতারে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা শরীরকে শুধু পানি সরবরাহই করবে না, বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টিও দেবে। এ ক্ষেত্রে তরমুজ হতে পারে আদর্শ একটি ফল। তরমুজ প্রায় ৯২% পানি সমৃদ্ধ, যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইফতারে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে শরীরে যে ৫টি উপকারিতা পাওয়া যাবে—
১) শক্তি বৃদ্ধি পাবে
ইফতারের পর শরীরে অনেক সময় ক্লান্তি অনুভূত হয়। এটি মূলত পানির অভাব ও ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির কারণে ঘটে। তরমুজে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে।
২) ব্যায়ামের স্বস্তি এনে দেয়
রমজানে রাতে অনেকেই ব্যায়াম করে থাকেন। তবে শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে পেশিতে টান পড়ার সমস্যা হতে পারে। তরমুজে থাকা "সাইট্রোলিন" নামক উপাদান পেশির সংকোচন ও প্রসারণে সহায়তা করে, যা ব্যায়ামের সময় শরীরকে স্বস্তি দেয়।
৩) হজম শক্তি বাড়ায়
রোজার সময় অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়, কারণ ইফতার ও সেহরিতে ভারী ও অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া হয়। তরমুজে থাকা ফাইবার হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমায়।
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
তরমুজে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সাধারণ সর্দি-কাশি বা অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন তরমুজ খাওয়া উপকারী হতে পারে।
৫) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
তরমুজ শুধু শরীরকে হাইড্রেটেডই রাখে না, বরং এটি ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
শেষ কথা
ইফতারে বেশি পানি পান করতে গেলে অনেক সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সুযোগ কমে যায়। তাই তরমুজের মতো ফল খাওয়া ভালো, যা শরীরকে পানি সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও দেয়। তাই ইফতারের সময় নিয়মিত এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং নিজেকে রাখুন সতেজ ও সুস্থ!
ইমরান