
রক্তদান একটি নিরাপদ ও মানবিক কাজ, তবে এটি করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত রাখা জরুরি। রমজানে রক্তদানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত: ১. রক্তদানের সময়: সেহরির পর বা ইফতারের ২-৩ ঘণ্টা পর রক্তদান করা উত্তম। কারণ, ইফতারের পর শরীরে পানিশূন্যতা কমে আসে এবং শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। ২. পর্যাপ্ত পানি পান: রক্তদানের আগে ও পরে শরীরে পানিশূন্যতা রোধের জন্য ইফতার ও সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করা জরুরি। ৩. পুষ্টিকর খাবার: রক্তদানের পর শক্তি ফিরে পেতে প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন খেজুর, দুধ, ডিম, মাছ ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। ৪. শরীরের অবস্থান: রক্তদানের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া উচিত যাতে মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা অনুভব না হয়।
রমজানে রক্তদাতার সংখ্যা কমে যায়, ফলে রোগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহ করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই রোগীর স্বজনদের উচিত: • রক্তদাতাদের যথাযথ সম্মান জানানো এবং তাদের জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা। • ইফতারের পর বা রাতের সময়ে রক্তদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসাহিত করা। • হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রক্ত সংগ্রহ করা।
রমজানে রক্ত সংকট মোকাবিলার জন্য হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে: ১.পূর্বপরিকল্পিত ক্যাম্পেইন: রমজানের শুরুতেই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে আগেভাগে রক্ত সংগ্রহ করতে হবে। ২.ইফতারের পর রক্তদান কর্মসূচি: ইফতারের পর রক্তদানের সুবিধা দিতে হবে যাতে রক্তদাতারা স্বস্তিতে রক্তদান করতে পারেন। ৩.স্টক ম্যানেজমেন্ট: জরুরি রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রক্তসংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে।