ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

রোজায় কিডনি রোগীদের করণীয়

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ৫ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৯:৪৭, ৫ মার্চ ২০২৫

রোজায় কিডনি রোগীদের করণীয়

ছবি সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসে দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই সময়টি আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে পার করা প্রয়োজন।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে রোজায় কিডনির সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব। রোজায় কিডনি রোগীদের যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি:

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

রোজায় দীর্ঘসময় পানি পান করা সম্ভব হয় না। তবে ইফতার থেকে সেহরির মধ্যে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে গরমের দিনে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত লবণ ও চিনি পরিহার করুন

ইফতার ও সেহরিতে অতিরিক্ত লবণ ও চিনি গ্রহণ করলে কিডনির ওপর চাপ বাড়তে পারে। লবণযুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে পানি ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ে, যা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

ভাজাপোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন

ইফতারে বেশি পরিমাণে ভাজাপোড়া ও প্রসেসড খাবার খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে পারে। এসব খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

পর্যাপ্ত ফল ও সবজি খান

সেহরি ও ইফতারে তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ হয়, যা কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করুন

অপর্যাপ্ত ঘুম কিডনির কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই নিয়মিত অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

ক্যাফেইন ও কোমল পানীয় পরিহার করুন

ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা, কফি, কোলা) শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেয়, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এসব পানীয় কমিয়ে সাধারণ পানি বা ফলের রস পান করুন।

কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ

যাদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা রয়েছে, তারা রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করতে হয় এমন কিডনি রোগীদের জন্য রোজা রাখা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

আশিক

×