ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে হলুদের গুরুত্ব

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ৪ মার্চ ২০২৫

ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে হলুদের গুরুত্ব

প্রতীকী ছবি

রান্নায় মশলা হিসেবে হলুদ ব্যবহারের প্রচলন সাধারণত ভারতীয় উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে। তবে বিশ্বজুড়েই চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যগত উপকারিতায় হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। চলুন জেনে নিই হলুদের এমন কিছু অবিশ্বাস্য গুণাগুণ সম্পর্কে:

১. ব্যথানাশক গুণাগুণ:

হলুদে কারকিউমিন (Curcumin) নামে একটি যৌগ থাকে, যা শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের জন্য পরিচিত।

২. জয়েন্ট ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিস কমায়:

হলুদের ব্যথানাশক গুণ হাড়ের জয়েন্ট ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ কমাতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে বেশ কার্যকরী।

৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:

হলুদ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্তের উপাদানগুলো জমাট বেঁধে যাওয়া (Clot) প্রতিরোধ করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত হলুদ খাওয়া শুরু করলে হজমে সহায়ক পাঁচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এবং অন্যান্য পাচনতন্ত্রের রোগের লক্ষণ কমাতে হলুদ বিশেষ উপকারী।

৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:

হলুদের কারকিউমিন (Curcumin) নামক উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে এবং টিউমারের আকার ছোট করতে সাহায্য করে।

৬. স্নায়বিক ব্যাধির ঝুঁকি কমায়:

হলুদের ব্যথানাশক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ মস্তিষ্কের নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, যেমন আলঝেইমার এবং পারকিনসনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

হলুদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ফলে অসুস্থতা এবং যেকোনো সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।

৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:

হলুদের ব্যথানাশক গুণাগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও উন্নত করে।

৯. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়

হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের ব্রণ, অ্যাকনে, একজিমা এবং কালো ছোপের মত সমস্যা দূর করতে বিশেষ সহায়তা করে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে বলি রেখা কমাতেও হলুদ বেশ উপকারী।

১০. অতিরিক্তি ওজন কমিয়ে ফেলে

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত হলুদ খাওয়া শুরু করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। আর একবার মেটাবলিজম রেট বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়। এছাড়া হলুদের কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে উপস্থিত ফ্যাট গলানোর মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

সূত্র: এনডিটিভি

রাকিব

×