ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

এবার বয়স কমানোর কৌশল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা!

প্রকাশিত: ০১:০৫, ৪ মার্চ ২০২৫

এবার বয়স কমানোর কৌশল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা!

ছবি: সংগৃহীত।

এবার বয়স কমানোর কৌশল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই জাপানের একদল বিজ্ঞানী মানুষের শরীরে এমন একটি প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন, যা শরীরে বার্ধক্য আসা ঠেকানোর পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ক্ষতির মেরামত করতে পারে।

মানুষের বয়স যত বৃদ্ধি পায়, শরীরের বিভিন্ন কোষের কার্যকারিতা তত কমতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরের চামড়া কুচকে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজের গতি কমে যায়। মানুষের শরীরে বার্ধক্য আসা ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী মানুষের শরীরে থাকা এমন এক প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন, যা শরীরে বার্ধক্য আসা ঠেকানোর পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ক্ষতি মেরামত করতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, এপি টু এ ওয়ান নামের প্রোটিন শরীরের জৈবিক ঘড়িকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এর ফলে শরীরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ক্ষতি মেরামত করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই এই প্রোটিনের মাধ্যমে মানুষের বার্ধক্য ঠেকানোর পাশাপাশি বয়স কমিয়ে আনার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

সাধারণভাবে, মানবদেহের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষ পূর্ণ হতে থাকে। বিজ্ঞানীরা এসব কোষকে সেন্সেন্ট কোষ বলেন। এরা বিভাজন ও নিজেদের কাজ ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়। কোষগুলো ধ্বংস না হয়ে বরং বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন প্রদাহজনক রাসায়নিক তৈরি করে, যা বয়স সম্পর্কিত রোগের বিকাশ ঘটায়। তবে এপি টু এ প্রোটিন এর পরিমাণ কমিয়ে কেবল সেন্সেন্ট কোষকে তরুণ ও সুস্থ কোষে পরিণত করা সম্ভব।

তাত্ত্বিকভাবে, বিজ্ঞানীরা সেলুলার স্তরে বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে থামিয়ে, আলজাইমার বা আর্থ্রাইটিসের মতো বয়স সম্পর্কিত রোগের প্রতিকার করতে চান। এই প্রোটিনের পরিমাণ হ্রাস করা হলে কোষ তাদের স্বাভাবিক আকারে ফিরে আসে এবং আবার বিভক্ত হতে শুরু করে। এর ফলে শরীরে তারুণ্যের লক্ষণ দেখা দেয়।

এটি যদি কার্যকর হয়, তবে তা মানুষের জীবনযাত্রা এবং শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

নুসরাত

×