ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

এবার ওজন কমবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ৩ মার্চ ২০২৫

এবার ওজন কমবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

ছবি: সংগৃহীত

ওজন কমানোর জনপ্রিয় ও কার্যকরী পদ্ধতির মধ্যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অন্যতম। এটি শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, বরং শরীরকে ডিটক্সিফাই করা ও মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। 

তবে এই ডায়েট কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। আসুন, জেনে নিই স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।  

সঠিক ফাস্টিং পদ্ধতি নির্বাচন করুন
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। নিজের লাইফস্টাইল ও শারীরিক সামর্থ্যের সঙ্গে মানানসই পদ্ধতি বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

ধাপে ধাপে শুরু করুন
একেবারে দীর্ঘ সময় ফাস্টিং শুরু না করে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হন। শুরুতে ১২ ঘণ্টার ফাস্টিং করে ধাপে ধাপে ১৪ বা ১৬ ঘণ্টায় উন্নীত করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ফাস্টিং চলাকালীন শরীরে পানিশূন্যতা যাতে না হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত পানি, ডিটক্স ও গরম পানি পান করুন। হার্বাল টি বা লেবু পানি পান করাও উপকারী।

নিউট্রিশন সমৃদ্ধ খাবার খান
ফাস্টিং শেষে প্রক্রিয়াজাত ও জাঙ্ক ফুড না খেয়ে উচ্চ প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।

অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন
ফাস্টিং শেষে একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত ও সুষম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার খান
ফাস্টিং শেষে এমন খাবার খান যা শরীরকে দীর্ঘক্ষণ পূর্ণতা দেয়। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিম, চিকেন এবং ফাইবারযুক্ত শাকসবজি খাওয়া উচিত।

চিনি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন
পরিশোধিত চিনি ও কার্বোহাইড্রেট ইনসুলিন স্পাইক করে ক্ষুধা বাড়ায়। তাই মিষ্টি ও ফাস্ট ফুড পরিহার করা ভালো।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
সুস্থ ওজন কমানোর জন্য ভালো ঘুম অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

হালকা ব্যায়াম করুন
ফাস্টিং চলাকালীন ভারী ব্যায়াম না করে হালকা ওয়ার্কআউট যেমন যোগব্যায়াম, হাঁটা বা স্ট্রেচিং করতে পারেন। এতে শরীর আরও সচল থাকবে।

ধৈর্য ধরুন ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ফল এক দিনে আসে না। ধৈর্য ধরুন ও নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যান। এতে ধীরে ধীরে ওজন কমার পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।


ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করার আগে শরীরের চাহিদা ও উপযোগিতা বুঝে পরিকল্পনা করা উচিত। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চললে এটি আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

শিলা ইসলাম

×