ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যে ১০টি নিয়ম মেনে চলতে পারেন

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২ মার্চ ২০২৫

কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যে ১০টি নিয়ম মেনে চলতে পারেন

সংগৃহীত

কিডনি আমাদের শরীরের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা নিঃশব্দে প্রতিনিয়ত কাজ করে শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করে। এটি শরীরের রক্ত পরিশোধন করে বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বের করে দেয়। কিডনি শুধু রক্ত পরিশোধনেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং হাড়ের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। সুস্থ কিডনি আমাদের শরীরকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে। কিন্তু অবহেলা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
 

আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক এমন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হল :

লাইফস্টাইল পরিবর্তন করুন

সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পানির পর্যাপ্ত গ্রহণ নারীদের জন্য কিডনি রোগ প্রতিরোধে অপরিহার্য।

 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, যা কিডনি রোগের দুটি প্রধান কারণ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।


অতিরিক্ত ওজন কমান 
অতিরিক্ত ওজন শরীরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এই দুটি রোগই কিডনি ক্ষতির প্রধান কারণ। তাই স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে আনলে কিডনি সুস্থ থাকে।

 

সক্রিয় থাকুন 
দৈনিক শরীরচর্চা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন করতে সহায়তা করে। এতে কিডনির কার্যক্ষমতা ভালো থাকে।

 

দ্রুত হাঁটা
দ্রুত হাঁটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। এতে কিডনি ফিল্টারিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করতে পারে।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। নিয়মিত রক্তের সুগার লেভেল পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন 
উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করে। তাই লবণ গ্রহণ কমানো, ব্যায়াম এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

 

পর্যাপ্ত পানি পান করুন 
পর্যাপ্ত পানি কিডনি থেকে বর্জ্য পদার্থ সরিয়ে দিতে সহায়তা করে। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে কিডনি সুস্থ থাকে।

 

লবণ গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করুন 
অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়ায়, যা কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দিনে ৫-৬ গ্রাম লবণের বেশি না খাওয়া উচিত।

 

প্রসেড খাবার এড়িয়ে চলুন
প্রসেসড খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম, সংরক্ষণকারী রাসায়নিক এবং ট্রান্সফ্যাট থাকে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করলে কিডনি দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকবে। একটি সুস্থ কিডনি শরীরকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। তাই কিডনির যত্ন নেওয়া মানে নিজের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। কিডনি সুস্থ থাকলে জীবনও থাকে প্রাণবন্ত ও সুস্থ।
 

 

আফিয়া
 

×