
ছোট শিশুরা প্রায়ই রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকে। এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসেবে দেখা হয় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন না থাকা। আমরা প্রায়ই শিশুদের খাবার তাদের পছন্দমত করতে গিয়ে পুষ্টির দিকটা একেবারেই ভুলে যাই। মনে রাখতে হবে, শিশু যথাযথ পুষ্টি না পেলে এনিমিয়ার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে আরো বড় ধরণের সমস্যা।
মোটামুটি ছয় মাস বয়স থেকেই শিশুর খাবার বৈচিত্র্যময় করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। জন্মের পরের তিনমাস পর্যন্ত শিশু মায়ের শরীরের হিমোগ্লোবিন দিয়েই কাজ চালাতে পারে, এরপর তার নিজের শরীরে রক্ত তৈরি হওয়া শুরু করে। তাই, হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করবে এমন খাবার খুব দ্রুতই শিশুকে দিয়ে শুরু করতে হবে।
মুরগির কলিজা অত্যন্ত প্রোটিন ও আয়রন রিচ খাবার। অল্প বয়স থেকে শিশুকে এটি খাওয়ানো শুরু করলে এর হিম আয়রন শিশুর রক্ত তৈরিতে সাহায্য করবে। তাই শিশুকে কলিজা খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। খিচুড়ি অথবা ভাতের সাথে নরম করে মিশিয়ে শিশুকে কলিজা খাওয়ানো যেতে পারে।
কলা বা খেজুরে থাকে আয়রনের পাশাপাশি পটাশিয়াম, ভিটামিন ও অন্যান্য মিনারেল। যা শিশুর রক্ত উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে শরীর সুস্থ রাখে ও তার গঠনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন শিশুকে খেতে দিন কিছুটা করে কলা ও খেজুর। শুধু ফল অথবা নাস্তার সাথে কিছু বানিয়ে দুইভাবেই আপনি শিশুকে ফল খাওয়াতে পারেন।
ডালিম আর আপেলেও থাকে বেশ ভালো পরিমাণে আয়রন। শিশুকে অন্যান্য ফল ও নাস্তার পাশাপাশি ডালিম ও আপেলের মত রসালো ফল খাওয়ারও অভ্যাস করুন।।বেশি ছোট অবস্থায় জুস করে দেয়া যেতে পারে।
মিষ্টি আলুতে আছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও বিভিন্ন রকম মিনারেল। তাই শিশুকে মিষ্টি আলু খেতে দিলে তার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।
শিশুকে অল্পবয়স থেকেই রঙিন ক্যান্ডি, বাজারের কোমল পানীয় বা জুস, জাংক ফুড বা চা কফি এসব থেকে দূরে রাখবেন। এগুলো শিশুর গঠনে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। তার বদলে ঘরে স্বাস্থ্যকর খাবার ও নাস্তা খেতে দেবেন।