
গরমের দিনে আমলকী বাংলাদেশের একটি খুব জনপ্রিয় ফল, অনেকেই লবণ মরিচ মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। এছাড়াও আমলকী পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। তবে জানেন কি, অন্য অনেক গুণের সাথে ওজন কমানোতেও ভূমিকা রাখে আমলকী? জেনে নেয়া যাক আমলকী ও তার জুসের আরও কিছু গুন।
মেটাবোলিজম বাড়ায়
নিয়মিত আমলকির জুস পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে, হজমের সমস্যা চলে যায় এবং শরীরে খাবারের পুষ্টি শুষে নেয়।
ভিটামিন সি এর আধার
আমলকীর জুস ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রোগের সংক্রমণ কমায়, এবং এটি বেশ ভালো এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
শরীরের মেদ-চর্বি কমায়
আমলকীর জুসের রয়েছে ফ্যাট বার্নিং ক্ষমতা। ফ্যাট বার্ন করে অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ফেলার পাশাপাশি ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণ করে, যা ওজন কমানোতে ভূমিকা রাখে।
ইমিউনিটি বাড়ায়
আমলকীর জুস আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যার ফলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণ ,ভাইরাস ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্যাথোজেনের আক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
বয়সের ছাপ কমায়
আমলকীর জুসে এন্টি ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি অক্সিডেন্টযুক্ত উপাদান থাকে। এগুলো আমাদের ত্বকের যত্ন নেয়, ব্রণ, ভাঁজপড়া বা কুঁচকে যাওয়া রোধ করে, এবং ত্বক সতেজ করে তোলে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
আমলকীর জুস আমাদের হজমের জন্য ভালো, এটি ডাইজেস্টিভ টনিক হিসেবে কাজ করে, হজমের জন্য উপকারী এনজাইমের ক্ষরণ বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, এবং অন্ত্রের জন্য উপকারী।
ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখে
যাদের ডায়াবেটিস আছে বা সুগারের প্রবলেমে ভুগছেন, তাঁদের জন্য আমলকীর জুস খুবই উপকারী। রক্তে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে আমলকীর জুস।
যকৃতকে সুস্থ রাখে
আমলকীর জুসে রয়েছে ডিটক্সিফায়িং এজেন্ট, যা যকৃত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়, যকৃত ভালো রাখে এবং এর প্রাকৃতিক কোষ উৎপাদন ও গঠনে ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরল কমায়
আমলকীর জুস শরীরের ক্ষতিকর ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।