
ছবি: সংগৃহীত
শিশুরা টিভি দেখতে খুবই পছন্দ করে। অনেক মা-বাবাই বলবেন, তাদের বাচ্চা একা একাই টিভি চালিয়ে কার্টুন বা ছোটদের মজার কোনও অনুষ্ঠান দেখে। তবে টিভি দেখা শিশুর জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়, বরং বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এমনটাই দাবি একাধিক গবেষণায়। গবেষণা বলছে, ১৮ মাস বয়স থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু যদি একটানা টিভি দেখতে থাকে, তবে তার বুদ্ধির বিকাশ থমকে যাবে। সমস্যা হবে তার কথা-বার্তা কিংবা ভাষায়ও।
গবেষকেরা আরও জানাচ্ছেন, যে শিশু বেশি টিভি দেখে তার পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়, সৃজনশীল ভাবনা বাধাপ্রাপ্ত এবং ঘুমের সমস্যাও বেশি হয়।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষকেরা জানিয়েছেন, “২ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুরা যদি দিনে ৩ ঘণ্টার বেশি টিভি দেখে, তা হলে তাদের মধ্যে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, খেলাধুলা ছেড়ে ঘুরকুনো হয়ে পড়া, অন্যের সঙ্গে কথোপকথনে সমস্যা এবং বুদ্ধি, চিন্তা-ভাবনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বেশ দুর্বল হয়ে পড়া।”
টিভি থেকে বের হওয়া আলো মেলাটোনিন নামক হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়। এই হরমোনের অভাবে শিশুদের ঘুম কমে যায় এবং উদ্বেগ ও অস্থিরতা প্রচণ্ড রকম বেড়ে যেতে পারে।
কোন বয়সের শিশু কত ঘণ্টা টিভি দেখলে কেমন ক্ষতি হয়, তারও একটা হিসাব রয়েছে। এই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস’। সেখানকার গবেষকেরা জানিয়েছেন, শিশুর বয়স ১৮ মাস বা তার কম হলে টিভি দেখাই উচিত নয়। ভিডিও কলে শিশু মা-বাবা বা পরিবারের কাউকে দেখতে পারে, তবে আর অন্য কোনও বৈদ্যুতিক ডিভাইস তার সামনে রাখা যাবে না।
১৮ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশু দিনে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা আর ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু দিনে ১ ঘণ্টা টিভি টিভি দেখতে পারে। তবে তা শিক্ষামূলক কোনও অনুষ্ঠান হতে হবে। শিশু টিভি দেখার সময়ে পাশে অভিভাবককে থাকতে হবে। শিশুর টিভি দেখার নেশা ছাড়াতে অভিভাবকদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।
সূত্র : https://tinyurl.com/y3573yk
রাকিব