ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

৩০-এর পরে নারীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি: কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০৮:৩৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৩০-এর পরে নারীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি: কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

ছবি: সংগৃহীত।

কিডনি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে এবং সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে বয়স ৩০ পেরোনো মহিলাদের মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD)-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশেষত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভোগা মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বাড়ে।

কিডনি সমস্যার কারণ ও সতর্কতা:

১. পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণ: কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা বিপজ্জনক হতে পারে। পটাশিয়াম ২০০ মিলিগ্রামের কম মাত্রায় রাখতে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা কিডনির উপর চাপ কমায়।

২. ভিটামিন ডি-এর অভাব: গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে শরীর ক্যালসিয়াম শোষণ কম করে, যার ফলে প্যারাথাইরয়েড হরমোন অতিরিক্ত ক্ষরণ হয়।

৩. পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ: মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকিও বেশি।

ভিটামিন ডি-এর গুরুত্ব:

ভিটামিন ডি হাড় এবং পেশির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এটি ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণেও সমস্যা হতে পারে, যেমন হাইপারক্যালসিমিয়া, যা হার্টের রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

কিডনি সুস্থ রাখতে যা করতে হবে:

  • খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • রোদে সময় কাটিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত।
  • সামুদ্রিক মাছ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া যেতে পারে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং নিয়মিত জীবনযাত্রার মাধ্যমে কিডনির সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

সায়মা ইসলাম

×