ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

আমলকির ‍গুণাগুণ, কেনো খাবেন আমলকি?

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমলকির ‍গুণাগুণ, কেনো খাবেন আমলকি?

আমলকি: ছোট একটি ফল, কিন্তু পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, ফাইবার, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।

আমলকির ১২টি স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  1. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি – উচ্চ ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  2. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা – কোলেস্টেরল, রক্তচাপ ও প্রদাহ কমায়।
  3. ত্বকের যত্ন – কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল রাখে।
  4. হজমে সহায়ক – ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  5. যকৃতের স্বাস্থ্য রক্ষা – যকৃৎকে সুরক্ষা দেয় ও কার্যকারিতা বাড়ায়।
  6. চুলের যত্নে উপকারী – চুল মজবুত করে, চুল পড়া কমায়।
  7. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ – ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
  8. কিডনি রক্ষা – কিডনি সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
  9. ওজন নিয়ন্ত্রণ – ফাইবার খিদে কমিয়ে ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  10. চোখের দৃষ্টি উন্নত করে – ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
  11. প্রদাহ কমায় – আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগ কমাতে সাহায্য করে।
  12. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় – স্মৃতি শক্তি ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আমলকি ব্যবহার:

  • খাদ্য পরিপূরক – কাঁচা বা রস হিসেবে খাওয়া হয়।
  • আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় – চ্যবনপ্রাশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
  • রান্নায় ব্যবহার – চাটনি, আচার, তরকারি ও ভাতের সাথে মেশানো হয়।
  • জুস ও স্মুদি – অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে পান করা যায়।
  • প্রাকৃতিক ওষুধ – ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হজম ও লিভারের সমস্যায় উপকারী।

আমলকির সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

  • অতিরিক্ত খেলে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত কম রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • উচ্চমাত্রায় খেলে এসিডিটি ও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল রুক্ষ ও খুশকি হতে পারে।

আমলা সুপারফুড হিসেবে অত্যন্ত উপকারী, তবে অতিরিক্ত সেবন পরিহার করা উচিত। প্রতিদিন ১-২টি আমলা খাওয়া নিরাপদ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

সাজিদ

×