ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সামান্য হাঁটলেই বাড়ে মস্তিষ্কের আকার!

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সামান্য হাঁটলেই বাড়ে মস্তিষ্কের আকার!

ছবি: সংগৃহীত

একটি সাধারণ ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। বিপরীতে, স্থবির জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

প্রসিদ্ধ গবেষণা পত্রিকা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে তিন দিন ৪০ মিনিট করে হাঁটেন, এক বছরের মধ্যে তাদের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলের বৃদ্ধি ঘটে।

হিপোক্যাম্পাস হল স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অন্যদিকে, যারা শুধু স্ট্রেচিং ও টোনিং ব্যায়ামে সীমাবদ্ধ ছিলেন, তাদের হিপোক্যাম্পাস সংকুচিত হয়েছে।

এই গবেষণার অন্যতম লেখক, নিউরোসায়েন্টিস্ট আর্থার ক্রেমার ব্যাখ্যা করেছেন যে শারীরিক কার্যকলাপ নতুন নিউরনের জন্ম দেয়, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

গবেষণাটি দেখিয়েছে যে আমাদের বিবর্তনগত ইতিহাসে গতিশীল জীবনধারার গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি মস্তিষ্কের সুস্থতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সক্রিয় জীবনযাত্রার গুরুত্ব অপরিসীম।

এ গবেষণা প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে, যেখানে বলা হয় মস্তিষ্কের ব্যায়াম, যেমন শব্দ ধাঁধার (ক্রসওয়ার্ড পাজল) মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি সংরক্ষণ করা সম্ভব। যদিও বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ, তবু গবেষকরা— যাদের মধ্যে রয়েছেন মনোবিজ্ঞানী মার্গারেট গ্যাটজ— জোর দিয়ে বলেছেন, মস্তিষ্কের সুস্থতার ক্ষেত্রে শারীরিক কার্যকলাপ বেশি কার্যকরী। তদুপরি, মধ্যবয়সে স্থূলতা ও ডায়াবেটিস থাকলে মানসিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ বা ৮০ বছরের এমন ব্যক্তিরাও, যারা আগে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, হাঁটা শুরু করার পর মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করেছেন।

তাই, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে জটিল কিছু নয়—শুধু জুতোর ফিতা বেঁধে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন!

সূত্র: ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন

এম.কে.

×