ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

নিত্যপণ্যের মতোই লাগামহীন ঔষধের দাম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৭:১১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিত্যপণ্যের মতোই লাগামহীন ঔষধের দাম

ছবি: সংগৃহিত

নিত্যাপণ্যের মতই লাগামহীন ঔষধের দাম। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত চার মাসে কোনো কোনো ওষুধের দাম দ্বিগুণ করেছে কোম্পানিগুলো। অনেকে প্রশ্ন করেছে অন্তর্বর্তি সরকারের ভূমিকা নিয়ে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে - ওষুধের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। অতি জরুরি ওষুধের সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

বাজারে দেখা যায়, টোরাক্স ওষুধের দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। নিউরো বি ২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, ফেক্সো ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, বেক্সট্রাম গোল্ড ২৮৫ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এভাবে বেশি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও মাসিক বেতন বাড়ছে না মানুষের। ফলে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। বিক্রেতারা বলছেন, আগের মত বাজারে সংকট সৃষ্টি করে ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো।

দেশের চিকিৎসা ব্যয়ের শতকরা ৬৫% খরচ হয় ওষুধ কিনতে, ২০% মেডিকেল টেস্ট, ১০% চিকিৎসক ফি আর ৫% অন্যান্য। ডাক্তাররা বলছেন, ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণে রোগীরা কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারছেন না। ফলে রোগ নিরাময় হয় না।

ওষুধের দাম কমাতে বিগত সরকারের আমলে নীতিমালা তৈরী করা হলেও তা ছিল অনেকটা লোক দেখানো। বর্তমানেও চলছে সেভাবে। নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, "ওষুধের দামের লাগাম টানতে কাজ করছে প্রশাসন।" তিনি জানান, "শুধু দাম নয় মানও নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।"

ইসরাত জাহান

×