ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

লবণে সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে ফু দিলে সারবে রোগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লবণে সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে ফু দিলে সারবে রোগ

ছবিঃ সংগৃহীত

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, লবণের মধ্যে ৭০ টিরও বেশি রোগ নিরাময়ের ঔষধ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কুষ্ঠরোগ, ধবল রোগ এবং পাগলামি। এছাড়াও লবণ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। কারণেই দাঁতে ব্যাথা হলে প্রাথমিক নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকরা কুসুম গরম পানিতে কিছুটা লবণ মিশিয়ে কুলি করার পরামর্শ দেন। গলা ব্যাথা হলেও লবণ-পানির গার্গেল করার পরামর্শ দেওয়া হয়। চোখ ব্যাথাও কমে যায় লবণ-পানি দিয়ে।

ইবনে মাজাহ শরীফের ৩৩১৫ নং হাদিসে রয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তরকারির মধ্যে লবণ হলো সাঈদ। বর্তমান বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছে, শরীরে যদি লবণ বেড়ে যায় এতে করে সমস্যা হতে পারে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় লবণ কমে গেলেও মানুষ সমস্যায় পড়ে। মেডিকেল সায়েন্স বলছে, ভাইরাস দমনে লবণের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

মেশকাত শরীফের ৪৫৬৭ নং হাদিসে পাওয়া যায়, লবণ-পানিতে সূরা নাস সূরা ফালাক পড়ে ফু দিয়ে সেটি কোনো রোগের উসিলা হিসেবে পান করলে অথবা ক্ষত স্থানে লাগালে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যাবে। বিড়ালের কামড় হোক, বা পোকামাকড়ের কামড় হোক, উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তাতে সূরা নাস সূরা ফালাক পড়ে ফু দিয়ে সেবন করলে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

অনেকেই এই আমলের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যায়, যখন কোনো পোকামাকড়ের উপরে লবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয় তখন সেটি লবণের অ্যান্টিবায়োটিক ইফেক্টের কারণে মারা যায়। মানুষের শরীরেও ক্ষতিকর ভাইরাসগুলো এভাবেই লবণ দিয়ে নিরসন করা যায়। প্রোস্রাবে ইনফেকশন থাকলেও ভিটামিন সি এবং লবণ-পানি খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।

সুতরাং লবণ-পানিতে সূরা নাস সূরা ফালাক পড়ে ফু দিয়ে পান করলে বা ক্ষত স্থানে লাগালে তার উপকারিতা সুনিশ্চিত।

মুমু

×