![অন্ধজনে পাবে আলো, দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে যুগান্তকারী সাফল্য! অন্ধজনে পাবে আলো, দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে যুগান্তকারী সাফল্য!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13-2502121539.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
রিজেনারেটিভ মেডিসিনে এক বিশাল অগ্রগতি ঘটেছে, যেখানে স্টেম সেল ব্যবহার করে রোগীদের দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি লক্ষ লক্ষ মানুষকে নতুন আশা দিচ্ছে।
২০২২ সালে জাপানের এক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফলভাবে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট ব্যবহার করে একাধিক রোগীর দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধার করা হয়।
ওসাকা ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের গবেষকরা সুস্থ মানুষের রক্তকণিকা থেকে উদ্ভূত ইনডিউসড প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেল ব্যবহার করে কর্নিয়ার এপিথেলিয়াল সেল শিট তৈরি করেন।
এই শিটগুলি চারটি রোগীর ক্ষতিগ্রস্ত কর্নিয়াতে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাদের লিম্বাল স্টেম সেল ডেফিশিয়েন্সি (এলএসসিডি) নামে একটি রোগ ছিল, যা দৃষ্টিহীনতা এবং চোখের উপর স্কার টিস্যু তৈরি করে।
চিকিৎসার দুই বছর পর, তিনজন রোগীর দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার হয়েছে এবং তাদের কর্নিয়া আরও স্বচ্ছ হয়েছে। প্রচলিত ট্রান্সপ্লান্টের তুলনায় এই পদ্ধতিটি ডোনার কর্নিয়ার প্রয়োজন ফেলে, যা কর্নিয়া-সংশ্লিষ্ট অন্ধত্বে ভোগা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য এক আশার আলো।
যদিও এই পদ্ধতি এখনও পরীক্ষামূলক, এটি রিজেনারেটিভ মেডিসিনে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে গণ্য হচ্ছে। পূর্বে স্টেম সেল ব্যবহার করে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন চিকিৎসা করা হলেও, এটি কর্নিয়ার পুনরুদ্ধারের প্রথম সফল প্রয়োগ।
তবে, এক রোগী এক বছর পর দৃষ্টিশক্তির অবনতি অনুভব করেন, যা হয়তো একটি ইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটেছে।
গবেষকরা এখন বড় আকারে নতুন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করার পরিকল্পনা করছেন, যাতে এই পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা আরও উন্নত করা যায়। সফল হলে, এটি দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে বিপ্লব ঘটাতে পারে, যা কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের একটি স্থায়ী এবং স্কেলযোগ্য বিকল্প হতে পারে।
সূত্র: দ্য ল্যানচেট
মেহেদী কাউসার