ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কী করবেন? বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কী করবেন? বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

ছবি: সংগৃহীত

নারীদের অনিয়মিত পিরিয়ড জটিল সমস্যার কারণ হতে পারে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাহানারা চৌধুরী।

অনিয়মিত পিরিয়ড কী

ডা. সাহানারা চৌধুরী বলেন, নারীর পিরিয়ডের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ২৩ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে একটা পিরিয়ড হয় অর্থাৎ এই সময়কালে একটা পিরিয়ড থেকে আরেকটা পিরিয়ড ফেরত আসে। পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন পরপর হয়।

অনিয়মিত পিরিয়ডের লক্ষণ:

* ২৩ দিনের আগে বা ৩৫ দিনের পর পিরিয়ড হওয়া

* দুই পিরিয়ডের মাঝে ব্লিডিং হওয়া

* ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হওয়া বা অতিরিক্ত ব্লিডিং

* চাকা বাঁধা রক্ত বা তীব্র ব্যথা হওয়া


প্রধান কারণ:

নারীর হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী হাইপোথ্যালামো-পিটুইটারি-ওভারিয়ান অ্যাক্সিস-এর তারতম্যের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে।

* কিশোরী ও মেনোপজের সময়ে:

* প্রথম পিরিয়ড শুরুর পর কয়েক বছর অনিয়মিত থাকতে পারে

* মেনোপজের আগে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে


প্রজনন বয়সে:

* গর্ভপাত বা সন্তান জন্মের পর পিরিয়ডের তারতম্য

* পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS)

* জরায়ুর টিউমার বা সংক্রমণ

* রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা

সম্ভাব্য ঝুঁকি:

অনিয়মিত পিরিয়ড দীর্ঘদিন চলতে থাকলে রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, ঘা হওয়া, মানসিক অস্থিরতা ও সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে। পিসিওএস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অ্যান্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।

চিকিৎসা ও প্রতিকার:

* আয়রন ট্যাবলেট বা ইনজেকশন নিয়ে রক্তশূন্যতা দূর করা

* উচ্চ মাত্রার প্রোজেস্টেরন বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল প্রয়োগ

* অতিরিক্ত ব্লিডিং হলে ট্র্যানক্সামিক অ্যাসিড ব্যবহার

* জরায়ুর টিউমার বা পলিপ থাকলে অপসারণ

* ওজন নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম, সুষম খাবার গ্রহণ এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার

অনিয়মিত পিরিয়ড অনেকগুলো রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ও জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি।

আসিফ

×