ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক অবস্থায় সহজে ধরা পড়ে না ক্যান্সার, ফলে এই রোগে মৃত্যুর হারও বেশি। তবে কুইন্সল্যান্ডের একদল গবেষকের দাবি, মাত্র ১০ মিনিটেই জানা যাবে, কারো শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে কিনা। গবেষকদের এই দলে রয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আবু সিনা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি সহজলভ্য হবে।
মানবদেহ অসংখ্য ছোট ছোট কোষের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিনিয়ত কিছু কোষ মারা যায় এবং নতুন কোষ তৈরি হয়। তবে, কোনো কারণে যখন এই কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়, তখন দেহে টিউমার তৈরি হয়। এই টিউমার দুই ধরনের হতে পারে—বিনাইন (ক্ষতিকর নয়) ও ম্যালিগন্যান্ট (ক্ষতিকর)। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই ক্যান্সার নামে পরিচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (IARC) মতে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারে ১ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে, এবং নতুন করে আক্রান্ত হতে পারে আরও ১ কোটি ৮১ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশেও ক্যান্সার পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্রতি বছর দেশে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা কঠিন হওয়ায় মৃত্যুর হার বেশি থাকে।
সম্প্রতি কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এমন এক পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা মাত্র ১০ মিনিটেই ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে। এই গবেষণা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক ম্যাক ট্রাউ। তার দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাংলাদেশি গবেষক ড. আবু আলী ইবনে সিনা। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি উন্নত করতে আরও কিছু গবেষণা প্রয়োজন। তবে শিগগিরই এটি সহজলভ্য হবে, যা মানুষের জীবন বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
তাবিব