ছবি : সংগৃহীত
টানা ১৪ দিন চিনি না খেলে মানব শরীরে ম্যাজিকের মত পরিবর্তন আসবে। এর ফলে বদ হজম, অনিদ্রার মত সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু আশ্চর্য উপকারিতাও পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যালকোহল ও তামাকের মত চিনিও আসক্তিকর। তাই শরীরকে চিনি না খাওয়াতে অভ্যস্ত করাতে হবে।
আমাদের রোজ জীবনের খাদ্য তালিকায় কোনো না কোনো ভাবেই চিনি থাকেই। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে অ্যালকোহল ও তামাকের মতো চিনিও আসক্তিকর। কারণ চিনি সরাসরি রক্তে মিশে যায় এবং অতি উচ্চমাত্রার ফ্রুকটোজ তৈরি করে নেশা সৃষ্টি করে। তাই চিনির অন্য নাম হোয়াইট পয়জন বা সাদা বিষ। তবে টানা ১৪ দিন চিনি না খেলে আমাদের শরীরে আশ্চর্য পরিবর্তন আসে।
চিনি বাদ দেয়ার প্রথম তিন দিন সবচেয়ে কঠিন। আমাদের শরীর চিনি খাওয়ায় এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যে, হঠাৎ করে চিনি বন্ধ করলে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এসময় মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা ও ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। এসময় শরীরে চিনির যে ক্ষতিকর উপাদান জমা ছিল শরীর তা নিষ্কাশনের কাজ শুরু করবে। তবে শরীরের অন্য সব প্রক্রিয়া চলতে থাকবে স্বাভাবিক নিয়মে।
মনোযোগ ও শক্তি বৃদ্ধি হয় চতুর্থ দিন থেকে। এসময় আপনি শারীরিক শক্তি ও মনোযোগ ফিরে পেতে শুরু করবেন। সপ্তম দিনে নিজেকে শক্তিশালী মনে হবে এবং আপনার মনোযোগ আগের চেয়ে বেড়ে যাবে। অষ্টম দিন থেকেই শরীর চিনিমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাচনতন্ত্র দারুণ ভাবে কাজ করতে শুরু করবে। এসময় অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভারসাম্য খুঁজে পেতে শুরু করে। এতে প্যাটফোলা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা কমতে শুরু করে।
এই প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় সপ্তাহের পর ক্ষুধা কমে যাবে এবং ঘুম ভালো হবে। এসময় আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে শুরু করবে। ফলে আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে না এবং ওজন কমতে শুরু করবে। তাই ১৪ দিনের চিনিমুক্ত জীবন শুরু করলে আপনি হৃদ রোগ, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী কিছু সুবিধাও পাবেন।
মো. মহিউদ্দিন