প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত
গলা ব্যথা, খাওয়ার সময় অস্বস্তি, কিংবা মুখে দুর্গন্ধ—এই ধরনের সমস্যার পেছনে থাকতে পারে টনসিল স্টোন। অনেকেই এটিকে সাধারণ গলার সংক্রমণ মনে করেন, কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় রূপ নিতে পারে।
টনসিল স্টোন কী?
টনসিলের ছোট ছোট খাঁজে খাদ্যের কণা, ব্যাকটেরিয়া ও মৃত কোষ জমে শক্ত হয়ে ছোট পাথরের মতো গঠন তৈরি করে, যা টনসিল স্টোন নামে পরিচিত। এগুলো সাধারণত সাদা বা হলুদ রঙের হয় এবং গলার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করে।
প্রাথমিক লক্ষণ
গলা ব্যথা বা অস্বস্তি,মুখে দুর্গন্ধ (হ্যালিটোসিস),খাবার গিলতে সমস্যা,কানে ব্যথার অনুভূতি,গলার ভেতর শক্ত কিছু আটকে থাকার অনুভূতি ।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট আকারের টনসিল স্টোন নিজে থেকেই পড়ে যেতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি—
১. লবণ-পানির গার্গল: গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় এবং টনসিল স্টোন দূর হতে পারে।
২. মাউথওয়াশ ব্যবহার: ব্যাকটেরিয়া কমানোর জন্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩.ভালোভাবে দাঁত ও জিহ্বা পরিষ্কার করা: খাবারের কণা জমে টনসিল স্টোন তৈরির অন্যতম কারণ। তাই নিয়মিত ব্রাশ ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করা জরুরি।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: যদি স্টোন বড় হয়ে যায় বা গলার ভেতর বারবার সংক্রমণ হয়, তবে ডাক্তার অস্ত্রোপচারের (টনসিলেক্টমি) পরামর্শ দিতে পারেন।
টনসিল স্টোনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। গলার স্বাস্থ্য ভালো রাখলেই মিলবে সুস্থতা!
জাফরান