ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ফেস ব্লাইন্ডনেস: যখন চেনা মুখও অচেনা হয়ে যায়!

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফেস ব্লাইন্ডনেস: যখন চেনা মুখও অচেনা হয়ে যায়!

প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত

ফেস ব্লাইন্ডনেস  হলো একটি স্নায়বিক সমস্যা, যেখানে রোগী মানুষের মুখ চিনতে অসুবিধা অনুভব করেন। এটি জন্মগত হতে পারে বা কোনো মস্তিষ্কের আঘাত বা স্ট্রোকের ফলে হতে পারে।

ফেস ব্লাইন্ডনেস এর লক্ষণ:

১. পরিচিত ব্যক্তিদের মুখ চিনতে না পারা – আত্মীয়, বন্ধু বা সহকর্মীদের মুখ চিনতে অসুবিধা হয়।

২. নিজের মুখও চিনতে অসুবিধা হওয়া – আয়নায় বা ছবিতে নিজের মুখ শনাক্ত করতে কষ্ট হয়।

৩. চেহারার পরিবর্তন বুঝতে না পারা – কেউ চুল কাটলে বা চশমা বদলালে তাকে চিনতে না পারা।

৪. সামাজিক বিভ্রান্তি – পরিচিত কাউকে চিনতে না পারায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া।

৫. ভিন্ন উপায়ে মানুষ চেনা – কণ্ঠস্বর, পোশাক, হাঁটা বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে মানুষ শনাক্ত করার চেষ্টা করা।

৬. ভিড় বা জনসমাগমে অসুবিধা অনুভব করা – অনেক মানুষের মধ্যে কারো মুখ চিনতে না পারার কারণে বিভ্রান্তি বা উদ্বেগ অনুভব করা।

৭. চলচ্চিত্র বা টিভি সিরিজ দেখতে অসুবিধা হওয়া – অভিনেতাদের মুখ আলাদা করতে না পারা।

কারণ:

জন্মগত (Congenital Prosopagnosia): জন্ম থেকেই মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের সঠিকভাবে কাজ না করা।

আহতজনিত (Acquired Prosopagnosia): স্ট্রোক, মাথায় আঘাত বা নিউরোডিজেনারেটিভ ডিজিজ (যেমন আলঝেইমার) ইত্যাদির ফলে হতে পারে।


সমাধান বা মোকাবিলা:

মানুষ চিনতে বিকল্প উপায় (যেমন কণ্ঠস্বর বা পোশাক) ব্যবহার করা।সামাজিক যোগাযোগে সতর্ক থাকা ও নিজের সমস্যার কথা অন্যদের জানানো।কিছু ক্ষেত্রে থেরাপি বা বিশেষ প্রশিক্ষণ সহায়ক হতে পারে।


যদি আপনার বা পরিচিত কারো এ ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে একজন নিউরোলজিস্ট বা সাইকোলজিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া ভালো হবে।

জাফরান

×