ছবিঃ সংগৃহীত
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের শরীরের কোষ গঠনে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শক্তি জোগায়। কিন্তু বর্তমান বাজারে মাছ, মাংস, ডিমসহ বেশিরভাগ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের দাম অনেক বেশি, যা অনেক পরিবারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তাই বাজেটের মধ্যেই কীভাবে পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন নিশ্চিত করা যায়, সে সম্পর্কে কিছু কার্যকরী পরামর্শ নিয়ে এই প্রতিবেদন।
কম খরচে প্রোটিনের সহজ উৎস:
১. ডাল—সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর
ডালকে দরিদ্রের প্রোটিন বলা হলেও এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ। মসুর, মুগ, মাসকলাই বা ছোলার ডাল খরচের দিক থেকে সাশ্রয়ী এবং এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। প্রতিদিনের খাবারে এক বাটি ডাল অন্তর্ভুক্ত করলে পরিবারের সদস্যরা সহজেই প্রোটিন পেতে পারেন।
২. ডিম—সস্তায় পুষ্টি
ডিম হলো সবচেয়ে সহজলভ্য ও পুষ্টিকর প্রোটিনের উৎস। প্রতি ফোটায় ৬-৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন এক-দুটি ডিম খেলে প্রোটিনের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব।
৩. সয়াবিন ও চীনাবাদাম—উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ
সয়াবিনের দাম তুলনামূলক কম এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এটি সবজি ও তরকারির সঙ্গে রান্না করেও খাওয়া যায়। পাশাপাশি চীনাবাদামও প্রোটিনের চমৎকার উৎস। এটি নাস্তা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
৪. ছোট মাছ ও শুঁটকি—খরচ কম, পুষ্টি বেশি
বড় মাছের তুলনায় ছোট মাছ যেমন—পুঁটি, মলা, চিংড়ি বা শুঁটকি কম দামে পাওয়া যায়, কিন্তু এতে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।
৫. সস্তায় প্রোটিনের আরেক উৎস—ঘরের তৈরি দই ও ছানা
গরুর দুধ থেকে তৈরি দই ও ছানা উচ্চমানের প্রোটিন সরবরাহ করে। বাজারের দামের তুলনায় ঘরে তৈরি দই ও ছানা অনেকটাই সাশ্রয়ী হয়।
কম খরচে প্রোটিন গ্রহণের কিছু কৌশল:
* খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনুন—প্রতিদিন ভিন্ন উৎস থেকে প্রোটিন নিন।
* মাছ-মাংসের বিকল্প হিসেবে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন ডাল, সয়াবিন ব্যবহার করুন।
* বাজার থেকে কম খরচে পাওয়া যায় এমন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।
* মাংসের পরিবর্তে ডিম বা ছোট মাছ বেছে নিন।
সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কম খরচে পরিবারের সবার জন্য প্রোটিন নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে পুষ্টির ঘাটতি দূর করুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।
আসিফ