সংগৃহীত
ত্বকের নানা সমস্যা আমাদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু শ্বেতী রোগের মতো সমস্যাটি বিশেষ মনোযোগ দাবি করে। অনেকেই ভাবেন, শ্বেতী কি ছোঁয়াচে রোগ? এর উত্তর জানার আগে চলুন জেনে নিই শ্বেতী রোগের কারণ।
শ্বেতী রোগের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানা ধরনের শারীরিক এবং মানসিক কারণ, যা এই রোগের উৎপত্তি এবং এর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।শ্বেতী বা ভিটিলিগো একটি ত্বকের রোগ যা ত্বকের প্রাকৃতিক রঙ নষ্ট করে দেয়। এটি ঘটতে থাকে যখন ত্বকে থাকা মেলানোসাইট কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। মেলানোসাইট কোষগুলোর কাজ হলো মেলানিন উৎপাদন করা, যা ত্বকের রঙের জন্য দায়ী। যখন এই কোষগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, তখন ত্বকের কিছু অংশ সাদা হয়ে যায় এবং ত্বকের স্বাভাবিক পিগমেন্টেশন হারিয়ে যায়।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত, যা প্রায় আট কোটি মানুষ। যদিও শ্বেতী রোগের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে এটি বেশ কিছু কারণে হতে পারে।
শারীরিক স্বাস্থ্যের কারণে যেমন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সমস্যার কারণে, বা জেনেটিক মিউটেশনের কারণে এটি হতে পারে। ইমিউন সিস্টেম কখনো কখনো শরীরের মেলানোসাইট কোষগুলিকে আক্রমণ করে ভুল করে। এছাড়া মানসিক চাপ এবং স্ট্রেসও এর জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেনশ্বেতী রোগ সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি কোনও সংক্রামক রোগ নয়, এবং এটি অন্যের কাছে সহজে ছড়ায় না। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা (NHS) এবং ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই রোগের পূর্ণ নিরাময় এখনো সম্ভব হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যেগুলো এই রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে সুরক্ষা, ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা। যদি আপনার শরীরে কোনও অটোইমিউন ডিজিজ থাকে, তাহলে তার চিকিৎসা করানোও গুরুত্বপূর্ণ।
এখনকার সময়ের গবেষণা এবং চিকিৎসা পদ্ধতিতে আরও অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর সম্পর্কে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: বিবিসি
আফরোজা