ছবি সংগৃহীত
আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ফলে ভুড়ি বা পেটের মেদ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত মেদ শুধু শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে না, বরং এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ভুড়ি কমানোর কার্যকর উপায় নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান। চলুন জেনে নিই, বিশেষজ্ঞের মতে ভুড়ি কমানোর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়:
সুষম ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
ডা. মেহেদী হাসান বলেন, "ভুড়ি কমানোর প্রথম শর্ত হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। চিনি ও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ কমিয়ে বেশি প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শাকসবজি, বাদাম, ফলমূল ও প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।"
নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম
তিনি আরও বলেন, "নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইক্লিং করলে পেটের মেদ সহজেই কমানো সম্ভব। বিশেষ করে প্ল্যাঙ্ক, সিট-আপস এবং ক্রাঞ্চের মতো ব্যায়ামগুলো ভুড়ি কমাতে কার্যকর।"
চিনি ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলা
"অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার পেটে চর্বি জমার অন্যতম কারণ। কোলা, সফট ড্রিংকস, ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে," বলেন বিশেষজ্ঞ।
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
ডা. মেহেদী বলেন, "পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা পেটে মেদ জমার অন্যতম কারণ। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন বা ইয়োগার অভ্যাস করা উচিত।"
পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি
"প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে, যা ওজন কমাতে সহায়ক। খাবারের আগে পানি পান করলে ক্ষুধা কমে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়," যোগ করেন বিশেষজ্ঞ।
ভুড়ি কমাতে চাইলে শুধু ডায়েট বা ব্যায়ামের ওপর নির্ভর না করে একটি সুস্থ জীবনযাত্রা অনুসরণ করা জরুরি। ধৈর্য ও নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে যে কেউ নিজের কাঙ্ক্ষিত ফিটনেস অর্জন করতে পারেন।
আশিক