ছবিঃ সংগৃহীত।
লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা খাদ্য পচন, বিষাক্ত পদার্থ বের করা, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তি তৈরি করার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। লিভার সুস্থ রাখতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও জীবনযাপন নিয়ম অবলম্বন করা যেতে পারে।
১. কফি
কফি লিভারের জন্য উপকারী হতে পারে কারণ এটি লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং টক্সিন বের করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যাফেইন লিভারের সেলগুলোকে সুরক্ষিত রাখে এবং ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ
স্যালমন, ম্যাকেরেল, স্যারডিন ইত্যাদি মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এই মাছগুলো লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারে ফ্যাট জমা হতে বাধা দেয় এবং এর কার্যকারিতা উন্নত করে।
৩. বাদাম
বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। বিশেষ করে আখরোট, মুগোডি, এবং কাশু বাদাম লিভারের সুরক্ষা ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল একটি স্বাস্থ্যকর তেল যা লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রাখে, লিভারের টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী।
৫. ব্রোকলি
ব্রোকলি এবং অন্যান্য শাকসবজি যেমন কেল, ফুলকপি, এবং বাঁধাকপি লিভারের টক্সিন পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা লিভারের জন্য খুব উপকারী।
৬. গ্রিন টি
গ্রিন টিতে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এটি লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং লিভারের সেলগুলোর পুনর্গঠন ত্বরান্বিত করে।
৭. বীট রুট
বীট রুটে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং লিভারের সুস্থতা বজায় রাখে।
এই সাতটি খাবার নিয়মিতভাবে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং তার কার্যকারিতা বাড়ানো সহজ হবে।
Faruk