ছবিঃ সংগৃহীত
হাঁটা হলো সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর ব্যায়ামগুলোর মধ্যে একটি, যা শরীর ও মন দুটোই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, মন ভালো থাকে এবং মানসিক স্বচ্ছতা আসে। আসুন জেনে নেই, হাঁটার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা।
১. রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
হাঁটার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। ফলে মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ে এবং মনোযোগ শক্তি উন্নত হয়।
২. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
হাঁটা স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায় এবং মস্তিষ্ককে স্বস্তি দেয়।
৩. মনোযোগ বৃদ্ধি করে
নিয়মিত হাঁটার ফলে মনোযোগের স্থায়িত্ব বাড়ে এবং কাজের প্রতি ফোকাস ভালো হয়।
৪. সৃজনশীলতা বাড়ায়
বিশেষ করে খোলা বাতাসে হাঁটলে নতুন নতুন চিন্তা মাথায় আসে, যা সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়।
৫. মানসিক স্বচ্ছতা আনে
হাঁটার ফলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে চিন্তাধারা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৬. ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে
প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস ঘুমের ধরণ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রাতে ভালো ঘুম হতে সহায়ক। আর ভালো ঘুম মানেই ভালো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা।
৭. মস্তিষ্কের ধোঁয়াশা দূর করে
অনেকক্ষণ বসে থাকার পর হাঁটা মস্তিষ্কের ধোঁয়াশা বা ক্লান্তি দূর করে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ায়।
৮. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
হাঁটার ফলে নিউরোজেনেসিস ঘটে, অর্থাৎ নতুন মস্তিষ্ক কোষ গঠিত হয়, যা বয়সের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৯. মন ভালো রাখে
হাঁটা মস্তিষ্কে সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী রাসায়নিক নিঃসরণ বাড়ায়, যা মন ভালো রাখতে সহায়ক।
১০. মনোযোগ ও সচেতনতা বাড়ায়
হাঁটার সময় মানুষ বর্তমান মুহূর্তে বেশি মনোযোগী হয়, যা মনোযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক বিশ্রামও দেয়।
নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
রিফাত