ছবি: সংগৃহীত
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনাকে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এই ৭টি টেস্ট করানো একেবারে আবশ্যক।
ক্যানসার এখন আর বিরল রোগ নয়। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, দূষণ, জিনগত কারণসহ একাধিক কারণে এই মারণ রোগের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তবে আগেভাগেই সতর্কতা নিলে এই রোগকে প্রতিহত করা সম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট স্ক্রিনিং টেস্ট করালে প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যানসার ধরা পড়তে পারে, যা চিকিৎসার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
ক্যানসার প্রতিরোধে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা:
প্যাপ স্মেয়ার ও এইচপিভি টেস্ট:
মহিলাদের জরায়ু মুখ ক্যানসার রুখতে অত্যন্ত জরুরি। ২১ বছর পার হলেই নিয়মিত এই পরীক্ষা করানো উচিত।
ম্যামোগ্রাফি:
স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ৪০ বছরের পর থেকে নিয়মিত এই পরীক্ষা করানো দরকার।
কলনোস্কপি:
কোলন বা মলদ্বারের ক্যানসার চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। ৫০ বছরের পর থেকে এটি করা জরুরি।
লো ডোজ সিটি স্ক্যান (LDCT):
ধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যানসার নির্ণয়ের জন্য এই পরীক্ষা অত্যন্ত কার্যকরী।
প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন (PSA) টেস্ট:
পুরুষদের জন্য প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। ৫০ বছরের পর থেকে এটি করা উচিত।
স্কিন বায়োপসি:
ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত করতে এই টেস্ট করা হয়। শরীরে নতুন তিল বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা দিলেই ডাক্তার দেখানো উচিত।
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে লিউকেমিয়া নির্ণয়:
রক্তের ক্যানসার শনাক্ত করতে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো পরীক্ষা করালে ক্যানসার ধরা পড়ার আগেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষাই পারে আপনাকে সুস্থ রাখতে।
শিলা ইসলাম