বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আশঙ্কার বিষয় হলো ৫০ বছরের নিচে তরুণদের মধ্যে ক্যান্সারের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, আগের তুলনায় তরুণদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণদের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, কোলন বা মলাশয়ের ক্যান্সার, যা আগে বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যেত, এখন তরুণদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার বাড়ছে।
তরুণদের মধ্যে ক্যান্সারের এই বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, যেমন ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ, ধূমপান, মদ্যপান, স্থূলতা, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব এবং অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস এই ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এছাড়া, টেস্টিকুলার ক্যান্সারও তরুণ পুরুষদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। সাধারণত ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সার বেশি দেখা যায়।
তরুণদের মধ্যে ক্যান্সারের এই বৃদ্ধির প্রবণতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাপনের ধরন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তামাক ও অ্যালকোহলের অতিরিক্ত ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ এবং মানসিক চাপ এর জন্য দায়ী হতে পারে।
ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শরীরের অস্বাভাবিক ফোলা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া এবং খাবারে অরুচি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর হয়।
রাজু