ছবি: সংগৃহীত
গর্ভাবস্থার ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ মাস হল একটি বিশেষ সময়, যেখানে মা এবং শিশুর জন্য কিছু সতর্কতা ও যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম তিন মাস মা অনেক কিছু খেতে পারে না তার বমি বমি ভাবের জন্য। এই সময়ে তার এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠে। ফলে এই সময়গুলোতে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ভাতের পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খেতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চার পুষ্টির জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার এবং আয়রন যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
এই সময়ের মধ্যে কিছু সাধারণ সমস্যা হতে পারে, এবং সেগুলো প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বিশেষ করে তলপেটে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, কুচকিতে ব্যথা এসময়ের স্বাভাবিক সমস্যা। যেহেতু এই সময়ে বাচ্চা বড় হতে থাকে, জড়ায়ুতে চাপ পড়ার কারণে সমস্যাগুলো খু্বই নরমাল। এজন্য মাকে বারবার প্রসাব করা, হেলান দিয়ে বসা, হাই কমোড ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ সে যদি তার মেরুদন্ড সোজা রেখে কাজ করতে পারে তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
এই সময়ে গাইনোকোলজিস্টের কাছে দ্বিতীয় চেকআপ করানো উচিত। এতে আপনার এবং শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা মনিটর করা সহজ হবে। তখন মায়ের ওজন চেক করতে হবে। কারণ মায়ের ওজন বাড়লেই আমরা বুঝবো বাচ্চার ওজন বাড়ছে। পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা এবং পেশার চেক করাতে হবে।
পাশাপাশি এই সময় সঠিক ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া নিশ্চিত করুন, যেমন ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। তবে, অতিরিক্ত কোনো ওষুধ নেওয়া উচিত নয়, শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে।
এই সময়ে সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় যত্নের মাধ্যমে গর্ভাবস্থার অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করা সম্ভব। যদি কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন অতিরিক্ত রক্তপাত, তীব্র পেটব্যথা, বা শ্বাসকষ্ট, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: মেডিভয়েস
Faruk