ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১

নিজেকে ফিট রাখতে কোন বেলার খাবার কখন খাবেন?

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

নিজেকে ফিট রাখতে কোন বেলার খাবার কখন খাবেন?

শরীর সুস্থ রাখার জন্য সুষম ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি কেবল কী খাবেন, কতটা খাবেন, তা নয়, খাবারের সময়ও ততটাই গুরুত্ব বহন করে। পুষ্টিবিদরা বলেন, খাবার খাওয়ার সময় সঠিকভাবে ভাগ করা না হলে, সেই খাবার শরীরের জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। তাই ঘড়ির কাঁটা অনুসারে খাবার খাওয়ার গুরুত্ব অবহেলা করা উচিত নয়।

ওজন বাড়ানোর অন্যতম কারণ হল অস্বাভাবিক সময়ের খাবার খাওয়া। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা না খেয়েই অফিস, কাজ বা অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকি, যার ফলে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার সময়টা অসময় হয়ে যায়। আবার অনেকেই খাবারের পরিমাণে অতি মাত্রায় ভুল করে থাকেন, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং শুধু ক্যালোরিহীন খাবার খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা নয়, খাবারের সময়ও নিয়ম মেনে খেতে হবে।

সকালে বিপাক প্রক্রিয়া সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে থাকে। সকালের খাবার ভারী করা উচিত, কারণ সকাল বেলা শরীরের বিপাক হার সবচেয়ে বেশি থাকে। দিনে যত সময় গড়ায়, বিপাক হার তত কমতে থাকে। তাই, সকালের খাবার ভারী খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এই সময়টি শরীরের জন্য পুষ্টির প্রতি সবচেয়ে গ্রহণশীল সময়। এক্ষেত্রে সুষম খাবার যেমন দুধ, ডিম, ফল, শাকসবজি ও অন্যান্য প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

দুপুরে খাবার খাওয়া উচিত ১২টার মধ্যে। এই সময়টা বিপাক প্রক্রিয়া ভালো থাকে, তাই এখানে পরিমিত খাবার খাওয়াই যথেষ্ট। তবে, রাতের খাবার একেবারে হালকা হওয়া উচিত। বিশেষ করে, রাত ৮টা থেকে ৮:৩০-এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ফেলা উচিত। কারণ, রাতের খাবারের পর শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে কমতে থাকে, তাই রাত ১০টার পর ভারী খাবার খাওয়া অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। রাতে ভারী খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে, এবং যেহেতু শরীর রাতে বিশ্রাম নেয়, অতিরিক্ত ক্যালোরি জমে গিয়ে এটি ওজন বৃদ্ধি করে।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, খাবারের পর ঘুমাতে যাওয়ার মাঝে অন্তত তিন ঘণ্টার বিরতি রাখতে হবে। তাই, রাত ৮টার মধ্যে খাবার খেয়ে, তারপর পুরোপুরি বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রক্রিয়া সুস্থভাবে চলতে পারে। এতে করে শরীরের পেটের গ্যাস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায় এবং শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।

একইভাবে, সকালের এবং দুপুরের খাবারের মাঝে হালকা স্ন্যাক্স খাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য জরুরি। এসব স্ন্যাক্স হতে পারে ফল, বাদাম বা হালকা স্যান্ডউইচ, যা শরীরকে প্রোটিন ও শক্তি প্রদান করবে এবং দুপুরের খাবারের পর শরীরকে শক্তিশালী রাখবে।

অতএব, শুধু খাবার নির্বাচন বা পরিমাণ নয়, খাবার খাওয়ার সঠিক সময়টি মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম মেনে খাবার খেলে, আপনার শরীর সুস্থ ও ফিট থাকবে।

সূত্র: https://tinyurl.com/4mmyv3v9  

 

আফরোজা

×