ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

ঘনঘন মাথাব্যথা! ব্রেন টিউমার না তো? জেনে নিন লক্ষণসমূহ

প্রকাশিত: ২০:২০, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

ঘনঘন মাথাব্যথা! ব্রেন টিউমার না তো? জেনে নিন লক্ষণসমূহ

ছবি: সংগৃহীত

ব্রেইন টিউমার হলো মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি। এই টিউমারগুলো মস্তিষ্কের নিজস্ব কোষ থেকে (প্রাইমারি টিউমার) বা শরীরের অন্য কোনো অংশ থেকে ছড়িয়ে (মেটাস্ট্যাটিক টিউমার) মস্তিষ্কে গিয়ে গঠিত হতে পারে। এটি বিভিন্ন স্নায়বিক লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এবং সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রয়োজন।

ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ ও উপসর্গ
ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ ও উপসর্গ টিউমারের আকার, অবস্থান এবং বৃদ্ধি (টিউমারের গ্রেড) উপর নির্ভর করে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

সকালবেলা বেশি অনুভূত মাথাব্যথা বা মাথার চাপ।
মাথাব্যথার সাথে আলো ও শব্দের সংবেদনশীলতা থাকে না।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
পূর্বে কোনো ইতিহাস না থাকলেও খিঁচুনি হওয়া।
বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো।
হাত-পায়ের দুর্বলতা বা অনুভূতি হারানো।
দৃষ্টি সমস্যা, যেমন ঝাপসা দেখা বা দ্বৈত দৃষ্টি।
ভারসাম্য রক্ষা করতে সমস্যা।
কথা বলার সমস্যা।
ক্লান্তি বা অবসাদ।
দৈনন্দিন কাজকর্মে বিভ্রান্তি।
স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা।
ব্যক্তিত্ব বা আচরণে পরিবর্তন।
শ্রবণ সমস্যা।
ক্ষুধা বৃদ্ধি এবং ওজন বাড়া।
ব্রেইন টিউমারের কারণ
প্রাইমারি ব্রেইন টিউমার: মস্তিষ্কে কোষের ডিএনএ পরিবর্তনের কারণে টিউমার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এই পরিবর্তনের কারণ অজানা থাকে। বংশগত কারণেও টিউমারের ঝুঁকি বাড়তে পারে, তবে তা বিরল।

সেকেন্ডারি ব্রেইন টিউমার: শরীরের অন্য অংশে ক্যান্সার শুরু হয়ে মস্তিষ্কে ছড়ালে সেকেন্ডারি টিউমার হয়। সাধারণত স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মেলানোমা ইত্যাদি থেকে এই টিউমার সৃষ্টি হয়।

ব্রেইন টিউমারের ধরন

গ্লিওমাস: সবচেয়ে সাধারণ। এটি মস্তিষ্কের গ্লিয়াল কোষ থেকে তৈরি হয়।
করয়েড প্লেক্সাস টিউমারস: শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
এম্ব্রায়োনাল টিউমারস: শিশু ও তরুণদের মধ্যে দেখা যায়।
পাইনিয়াল টিউমারস: মস্তিষ্কের পাইনিয়াল গ্রন্থি থেকে গঠিত হয়।
মেনিনজিওমাস: মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের আশপাশের ঝিল্লি থেকে সৃষ্টি হয়।
 

ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসার ধরন:

অপারেশন: মাইক্রোস্কোপ প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিউমার সঠিকভাবে অপসারণ করা হয়।
রেডিওথেরাপি ও রেডিওসার্জারি: মস্তিষ্কে ফোকাসড রেডিয়েশন ব্যবহার করে চিকিৎসা।
কেমোথেরাপি: ওষুধের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা।

নাহিদা

×