আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে শিম একটি খুবই পরিচিত এবং পুষ্টিকর সবজি। ছোট-বড় সবার জন্যই শিম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী, বিশেষত বাচ্চাদের জন্য। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, শিমের বিচি বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে শিমের উপকারিতা শুধু স্মৃতিশক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর আরো অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে যা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের সঠিক বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। বিশেষভাবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শিম তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে:
শিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ভিটামিন C এবং E, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুস্থ রাখে। এটি মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত শিম খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হয় এবং তারা নতুন কিছু শিখতে এবং মনে রাখতে সহজে সক্ষম হয়।
ত্বক ভালো রাখে:
শিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন C ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের কোষগুলিকে পুনর্নির্মাণ করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ দূর করার কাজ করে। শিম নিয়মিত খেলে ত্বক আরো উজ্জ্বল এবং সুস্থ থাকে।
হার্ট ভালো রাখে:
শিমে থাকা ফাইবার এবং পটাশিয়াম হার্টের জন্য উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে কাজ করে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে শিম একটি কার্যকর খাদ্য হতে পারে।
কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ:
শিমের মধ্যে আছে উচ্চমানের ফাইবার, যা কোলনের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোলনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত শিম খেলে অন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
পেশী এবং হাড়ের উন্নতি:
শিমে থাকা প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের পেশী এবং হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি এবং শক্তি প্রদান করে। এটি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং পেশী শক্তিশালী রাখে।
শিম বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে সিমের স্যুপ, সালাদ, তরকারি কিংবা ভর্তা করে খেতে পারেন। শিম দিয়ে তৈরি মজাদার খাবার বাচ্চাদের খুব পছন্দ হয়। এছাড়া, শিমের বিচি রোস্ট করেও খাওয়া যায়, যা খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
সূত্র:https://tinyurl.com/bdd29dfc
আফরোজা