ছবিঃ সংগৃহীত
বহু প্রাচীনকাল থেকেই বরই বা কুল পাতা চর্মরোগ ও এলার্জি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর সময় বরই পাতা মেশানো পানির ব্যবহার নির্দেশ দিয়েছেন, যা এর পরিষ্কারক গুণের প্রমাণ বহন করে। বরইগাছ আল্লাহর এক সৃষ্টি। বরই যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এই গাছের বর্ণনা পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অনেক স্থানে এসেছে। এখানে বরইপাতা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো : পবিত্র কোরআনের সুরা আন নাজমের ১৪ নম্বর আয়াতে (সিদরাতুল মুনতাহা) বরইগাছের কথা বলা হয়েছে, যা সপ্তম আকাশে অবস্থিত।
বরই পাতার উপকারিতা:
অ্যান্টিসেপটিক গুণ: বরই পাতায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের জীবাণু দূর করতে সহায়তা করে।
এলার্জি ও চুলকানি নিরাময়: বরই পাতার নির্যাস দীর্ঘস্থায়ী এলার্জি ও চুলকানি উপশমে কার্যকর।
ব্যবহারের পদ্ধতি:
১. তাজা বরই পাতা সংগ্রহ করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
২. পাতাগুলো পিষে বা থেঁতো করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
৩. এই পেস্ট চুলকানি বা এলার্জি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন।
৪. কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া, বরই পাতা পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করাও ত্বকের সমস্যায় উপকারী হতে পারে।
তবে, যদি ত্বকের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জাফরান