ছবি: সংগৃহীত
মিষ্টি কুমড়ার মতোই এর ফুলও দেখতে উজ্জ্বল। এগুলো খাওয়াও যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কুমড়ার ফুল সিদ্ধ করে, বেটে, রান্না করে কিংবা ভেজে খাওয়া হয়। এ ফুল অবশ্য কাঁচাও খাওয়া যায়।
ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, ফ্যাটের পরিমাণ না থাকায় এ ফুলটি খাবারের ভালো উৎস। কুমড়ার ফুলে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে খনিজ, যেমন- ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। মিষ্টি কুমড়ার মতো এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি ২, বি৬ রয়েছে।
জানা জাক মিষ্টি কুমড়ার ১০ উপকারিতা সম্পর্কে।
- ভিটামিন এ, সি, ফাইবার ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া খেলে বাড়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
- প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে হজমে সহায়ক সবজিটি। নিয়মিত এটি খেলে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায়।
- মিষ্টি কুমড়ায় এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এটি বেশ কিছু মারাত্মক রোগ যেমন ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে।
- মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন এ ত্বকের যত্নে অনন্য। নিয়মিত এই সবজি খেলে ত্বক থাকে কোমল ও মসৃণ।
- ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি কুমড়া থেকে। এই উপাদান স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
- কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও আয়রন মেলে মিষ্টি কুমড়া থেকে। এসব উপাদান শরীরে শক্তি ও পুষ্টি জোগায়।
- কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার সম্পন্ন হওয়ায় মিষ্টি কুমড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- পটাসিয়ামের উৎস এই সবজি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে দূরে থাকা যায় কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ থেকে।
- এতে থাকা বেটা ক্যারোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন সি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। ফলে লিভার ভালো থাকে।
- রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে।
সাজিদ